সংসদে ড. কামালের কড়া সমালোচনায় শেখ সেলিম

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ড. কামাল ও শেখ সেলিম, ছবি: সংগৃহীত

ড. কামাল ও শেখ সেলিম, ছবি: সংগৃহীত

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জার্মানিতে ছিলেন। তখন কামাল হোসেন লন্ডনে ছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে শেখ হাসিনা একটা প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস কনফারেন্স করতে বলেছিলেন। উনি সেদিন প্রেস কনফারেন্স করেন নাই।'

এ সময় তিনি স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আমার কাছে ছবি আছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ড. কামাল হোসেন আর হুদা সামনাসামনি বসে পানীয় জাতীয় কি যেন পান করছিলেন। উনি যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না কিভাবে বলা যায়।'

বিজ্ঞাপন

রোববার (১০ মার্চ) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, 'খুনি মোস্তাক আর জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে, স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে। আমাদের সমস্ত কিছুকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের সামাজিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আলবদর, আল শামসকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। পৃথিবীর কোথাও নাই পরাজিত শক্তি রাজনীতি করতে পারে। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির রাজনীতি করার অধিকার কোথাও নেই। বিএনপি সেই কাজ করেছে।'

কামাল হোসেনে সমালোচনা করে বলেন, 'ড. কামাল হোসেন এখন খুব গণতন্ত্র বলে চিৎকার করছেন। আ হা কি গণতন্ত্র? ১/১১ সরকার তিনি ছিলেন একজন উপদেষ্টা তখন বিভিন্ন সেমিনারে বক্তৃতা করতেন উনি তো আইনজীবী বলেছিলেন যে অনির্বাচিত সরকার দুই বছররে বেশি থাকতে পারবে না। সুযোগ সন্ধানী ড. কামাল হোসেন এখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন।'

শেখ সেলিম বলেন, 'খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে জেলে গেছেন তার জন্য তিনি কান্না শুরু করেছেন, তার মুক্তি দিতে হবে। একজন আইনজীবী হয়ে উচ্চ আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মুক্তি দিতে হবে।'

শেখ সেলিম বলেন, 'তারেক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, খালেদা জিয়া কারাগারে। তাদের নেতা শূন্য। ভাড়াটিয়া নেতা হিসেবে কামাল হোসেনকে পাইছে। তারা পরিত্যক্ত নেতা পাইছে। যে নেতা বঙ্গবন্ধুর সময় একবার জিতেছিল, তাছাড়া জীবনে আর কোন দিন জেতেন নাই। সেটাও বঙ্গবন্ধু ছেড়ে দিয়েছিল বলে। এখন তিনি নির্বাচন করেন না। কামাল হোসেন বিএনপি নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে আসেন।  তারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য এসেছিল, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এসেছিল। তারা নির্বাচন করার জন্য আসেন নাই।'

তিনি বলেন, 'আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি জামায়াত এবং জঙ্গিরা বিভিন্নভাবে কুৎসা রটনা করছে। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা বলেন কাদেরে চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে, আরে খালেদা জিয়া তো চোর। সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে তো ইচ্ছা করে সিঙ্গাপুরে টাকা পাঠায় তাকে কেন সিঙ্গাপুরে পাঠাতে হবে। কাদের তো চোরও না স্বাধীন মানুষ সে তো অপরাধ করে নাই কাদের আর উনি তো এক হলো না। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা উচিত। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে যাবে তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।'

তিনি আরও বলেন, 'ষড়যন্ত্রকারীরা ৪৮ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করেছে, বিভিন্নভাবে মানবিক অপরাধ করেছে তাদের মানবিক অপরাধের জন্য বিচার করা হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেনাবাহিনীতে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে কেন হয়েছে কিসের জন্য হয়েছে কারা করেছে এর জন্য একটা কমিশন গঠন করা হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করতে কমিশন করে আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে দেওয়া হোক।'