ঈদের দিনের জন্য পোলাও, কোর্মা, রোষ্ট, বিরিয়ানি, তেহারি কিংবা খিচুড়ির মতো ভারি খাবারের পাশাপাশি বিকেলের জন্যেও চাই ব্যতিক্রমী কিছু রেসিপি। গৎবাঁধা নুডুলস, চটপটি তো অনেক হলো। এবার ঈদের বিকেলে তৈরি করুন একেবারেই নতুন ও ভিন্নধর্মী গ্রিক আইল্যান্ড চিকেন শিস কাবাব।
ভিনদেশী রেসিপিতে এই কাবাব তৈরির প্রতিটি উপাদান সহজলভ্য ও পরিচিত। এমনকি কাবাব তৈরির প্রস্তুত প্রণালীটাও ভীষণ সহজ।
বিধায় ঈদের দিনের বিকেলের নাস্তায় খুব সহজেই সবাইকে চমকে দিতে পারবেন সুস্বাদু এই কাবাব দিয়ে। চটজলদি দেখে নিন কীভাবে বানাবেন এই কাবাবটি।
উপাদান সমূহ:
১. ১/৪ কাপ অলিভ অয়েল।
২. ১/৪ কাপ লেমন জুস।
৩. ১/৪ কাপ হোয়াইট ভিনেগার।
৪. ২ কোয়া রসুন কুঁচি।
৫. ১ চা চামচ জিরা গুঁড়া।
৬. ১ চা চামচ ড্রাইড অরিগানো।
৭. ১/২ চা চামচ ড্রাইড থাইম।
৮. ১/৪ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়া।
৯. এক কেজি চামড়া ও হাড়বিহীন মুরগির বুকের মাংস (ছোট টুকরো করে কাটা)।
১০. ২ টি বড় ক্যাপসিকাম (ছোট টুকরো করে কাটা)।
১১. ১ টি বড় লাল পেয়াজ চার টুকরো করে কেটে ছাড়িয়ে নেওয়া।
১২. টমেটো (টুকরো করে কাটা)।
১৩. ১২ টি ছোট মাশরুম।
১৪. স্বাদমতো লবণ।
১৫. কাবাব তৈরির জন্য ৬ টি কাঠের স্টিক।
প্রস্তুত প্রণালী:
১. একটি বড় পাত্রে অলিভ অয়েল, লেবুর রস, হোয়াইট ভিনেগার, রসুন, জিরা গুঁড়া, অরিগানো, থাইম, লবণ ও কালো গোলমরিচের গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণের ভেতর মুরগি মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। মাখানো হয়ে গেলে পাত্রের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে কমপক্ষে দুই ঘন্টা রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে মেরিনেশনের জন্য।
২. কাবাব তৈরির জন্য কাঠের কাঠিগুলো ৩০ মিনিট সময়ের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
৩. এ সময়ে মিডিয়াম-হাই হিটে ইলেক্ট্রিক ওভেন প্রি-হিট করে নিতে হবে।
৪. মেরিনেট করে রাখা মুরগি মাংসের টুকরো থেকে বাড়তি তরল ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। এরপর মুরগির মাংসের সাথে ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো ও মাশরুম কাঠিতে গেঁথে নিতে হবে।
৫. প্রি-হিট করে রাখা ইলেক্ট্রিক ওভেনের গ্রিলে মাংসসহ কাঠিগুলো দিয়ে দিতে হবে। একপাশ বাদামি বর্ণ ধারণ করলে অন্যপাশে উল্টে দিতে হবে। এভাবে প্রতিটি পাশ বাদামি হয়ে গেলে দেখতে হবে মাংসের ভেতরের অংশ সিদ্ধ হয়েছে কিনা। মাংস ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে গেলে ওভেন থেকে বের করে পরিবেশন করতে হবে।
ঈদের দিন সকালেই মাংস মেরিনেট করে রাখলে,স্বাদু এই কাবাবটি তৈরি করার জন্য বড়জোর ৩০ মিনিট সময় প্রয়োজন হবে। ঈদের বিকেলে শিশু ও মেহমানদের জন্য দারুন লোভনীয় এই ডিশটি তৈরি করতে ভুলবেন না যেন।