বিভিন্ন ধরণের ফলের ফ্লেভারের জ্যাম বা জেলি শিশুদের কাছে অতি লোভনীয় একটি খাবার।
সকালের নাস্তায় বা স্কুলের টিফিনে জেলি-পাউরুটি থাকে চাহিদার শীর্ষে। শুধু পাউরুটি নয়, রুটি সাথেও মিষ্টি জেলি খেতে ভালোবাসে শিশুরা। এমনকি বড়রাও জ্যাম-জেলির সঙ্গে সকালের নাস্তা সেরে ফেলতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
জেলি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপন টেলিভিশন সহ গণমাধ্যমে প্রচার করা হলেও এই জেলির রয়েছে অগণিত ক্ষতিকর দিক। যে কারণে সহজলভ্য ও পছন্দের খাবার হলেও, শিশুদের কাছ থেকে এই খাদ্য উপাদানটি দূরে রাখা প্রয়োজন। জানার সুবিধার্থে আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো জেলি খাওয়ার কয়েকটি প্রধান ক্ষতিকর দিক।
চিনির মাত্রা বেশী
জ্যাম-জেলির বিজ্ঞাপনে সবসময় বলা হয়, প্রকৃতিক ফলের মিষ্টি থেকেই তৈরি করা হয় মজাদার এই খাবারটি। কিন্তু টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, আদতে প্রতি টেবিল চামচ জেলিতে আছে দুই টেবিল চামচ সমপরিমাণ চিনি। যা শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পাশাপাশি এই চিনি শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে।
নিউট্রেশন ও পুষ্টি ঘাটতি
জেলিতে ব্যবহৃত ফলগুলো সিদ্ধ করে সমপরিমাণ চিনি মিশ্রিত করা হয়। কোন ফল সিদ্ধ করলে ফলের নিউট্রেশনের মাত্রা তুলনামূলক অনেক কমে যায়। এছাড়াও তাপ দিয়ে জেলি প্রস্তুত করার ফলে ফলগুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ভিটামিন-সি নষ্ট হয়ে যায়।
স্থুলতা বাড়াতে পারে
যে সব শিশুরা নিয়মিত জেলি খায় তাদের স্থুলতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। একই সাথে বয়স বাড়ার সাথে শিশুর হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। কম মাত্রার নিউট্রিশন ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের কারণে শিশুরা ঝুঁকিতে পড়ে।
অল্পতেই পেট ভরে যায়
উচ্চমাত্রার চিনি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত খাবারগুলো বেশী খাওয়ার ফলে, মস্তিষ্ককে ভুল তথ্য দিতে শুরু করে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো। ফলে খুব অল্প খাবার খাওয়ার পরেই মনে হয়, অনেক বেশী খাবার খাওয়া হয়ে গেছে। এই বিষয়টি শিশুদের খাদ্য গ্রহণ ও বেড়ে ওঠার জন্য ক্ষতিকর।
জেলির গুণ
একটি ফলে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে, সেই পরিমাণ পুষ্টি উপাদান জেলিতে থাকে না। বরং জেলিতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যারা প্রতিদিন জেলি খায়, সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্যেই জেলি খাওয়া পরিহার করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার দেখা দিতে পারে যে খাবারগুলো থেকে
আরও পড়ুন: শরীর সুস্থ ও মন ভালো রাখবে যে চকলেট!