ঘুম আসবে মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সারাদিনে নানান সময়ে ঘুম পেলেও ঠিক রাতের বেলাতেই চোখ থেকে ঘুম পালিয়ে যায়।

শরীর জুড়ে ক্লান্তি থাকলেও চোখ যেন বন্ধ হতেই চায় না। রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় ভুক্তভোগী নেহাত কম নয়। ইনসমনিয়ার সমসস্যার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ঘুমের আগে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটির সমস্যাটি বেশি প্রকট। মোবাইলের ব্লু-লাইট ও রেডিয়েশনের ফলে ঘুমভাব কেটে যায়। এতে করে সহজে আর ঘুম আসতে চায় না।

বালিশে মাথা রাখার দশ কি পনের মিনিটের মাঝে যারা সহজেই গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে পারেন, তাদের ঈর্ষা করার দিন শেষ এখন। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতি ও উপায় জানা।

বিজ্ঞাপন

বিছানায় শোয়ার ৬০ সেকেন্ড তথা ১ মিনিটের মাঝেই ঘুম আনতে চাইলে প্রয়োগ করতে হবে চমৎকার কার্যকর একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটির নাম হলো ‘৪-৭-৮ রীতি’। কাজের ধরণ অনুসারেই যার নাম রাখা হয়েছে।

এই পদ্ধতি ফলো করার জন্য বিছানায় আরামদায়ক ভঙ্গীতে শুতে হবে। এরপর খুব স্বাভাবিকভাবে নাকের সাহায্যে চার সেকেন্ড ধরে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে হবে। নিঃশ্বাসটি পরবর্তী সাত সেকেন্ডের জন্য আটকে রাখতে হবে। সবশেষে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে আট সেকেন্ড সময় নিয়ে। এই পদ্ধতিটি নিয়ম ও সময় মেনে পরপর কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করলে সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যাবে।

৪-৭-৮ রীতি সম্পর্কে সন্দেহর কোন অবকাশ নেই। হার্ভার্ডের মেডিক্যাল ডাক্তার অ্যান্ড্রু ওয়িল জানান, এটা মূলত ভারতীয় ইয়োগা মেডিটেশনের একটি পদ্ধতি। যা শত বছরের পুরনো। তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র সহজ ও সুবিধাজনক পদ্ধতি যদি আপনি রাতে দ্রুত ঘুমাতে চান’।

এই পদ্ধতিটি মানার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দূর হয়। পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়মিত হয়, হার্টবিট স্বাভাবিক হয় ও পুরো শরীর রিল্যাক্স হয়। একদম সহজ ভাষায় বললে, এই পদ্ধতিটি শরীর ও মনের জন্য একেবারেই প্রাকৃতিক সিডাটিভ হিসেবে কাজ করে।

অ্যান্ড্রু পরামর্শ দেন টানা কয়েক সপ্তাহ অথবা মাসের জন্য প্রতিদিন রাতে এই পদ্ধতিটি মেনে চলার। এতে করে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মাঝে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং ঘুমজনিত সমস্যাগুলো দূর হবে। প্রয়োজনে এরপর নিয়ম বদলে নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: ঘুম হোক গানের সঙ্গে

আরও পড়ুন: ‘আসক্তি’ দেখা দিতে পারে এই সকল কাজেও!