গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখা যাবে শাকিব-জয়া-শুভকে
বিনোদন
ভারতের শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯। আগামী ২১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখা যাবে বাংলাদেশের ৩ তারকা শাকিব খান, জয়া আহসান ও আরিফিন শুভকে।
উৎসবে বিভিন্ন দেশের মোট ৩৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ২৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখানো হবে। বাংলাদেশ থেকে তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
বিজ্ঞাপন
গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উৎসবে দেখানো হবে শাকিব খান ও পাওলি দাম অভিনীত ‘সত্তা’, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’, পিপলু খানের ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’। এর বাইরে থাকছে আরিফিন শুভ অভিনীত ভারতীয় সিনেমা ‘আহা রে’ এবং জয়া আহসান অভিনীত ভারতীয় সিনেমা ‘কণ্ঠ’।
‘সত্তা’ দেখানো হবে উৎসবের ২য় দিন সন্ধ্যা ৬টায়, জয়ার ‘কণ্ঠ’ দেখানো হবে উৎসবের শেষ দিন বিকেল ৪টায় এবং শুভর ‘আহা রে’ দেখানো হবে উৎসবের দ্বিতীয় দিন দুপুর ১২টায়।
বিজ্ঞাপন
উৎসবটি শেষ হবে আগামী ২৫ আগস্ট। এর মধ্যে ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ফ্যাশন শো।
এবারের মার্কিন নির্বাচনে ৩৫ হাজার ৮১৪ জন ভোটারকে নিবন্ধন করেছেন কার্পেন্টার। এ ছাড়া আরও ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭ জন ভোটারের নিবন্ধনের পেছনেও তার অবদান রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ ভোটার নিবন্ধনের পেছনে সাবরিনার সরাসরি অবদান রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটি।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংগীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেডকাউন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, এবারের মার্কিন নির্বাচনে একক শিল্পী হিসেবে ভোটার নিবন্ধনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন সাবরিনা।
চলতি বছরের অন্যতম এই আলোচিত গায়িকা ২৭ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধনের পেছনেও অবদান রেখেছেন। চলতি বছর ‘একপ্রেসো’ গায়িকার আলোচিত সংগীত সফর ‘শর্ট অ্যান্ড সুইট’ এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে। প্রতিটি ট্যুরেই গানের সঙ্গে নিজের ভক্ত-অনুসারীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী মার্কিন গায়িকা।
ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, সাবরিনা ছাড়াও এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে বড় অবদান রেখেছেন আরেক জনপ্রিয় গায়িকা আরিয়ান গ্রান্ডেও।
সাবরিনা কার্পেন্টার এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকাদের একজন। চলতি বছর তিনি ‘এসপ্রেসো’ গানটি দিয়ে অনেক রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘টাইম’-এর ‘টাইম ১০০ নেক্সট ২০২৪’-এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সাবরিনা।
গত ১১ এপ্রিল ‘এসপ্রেসো’ মুক্তি পাওয়ার পরই গানটি যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশের টপ চার্টের শীর্ষে ছিল। মিউজিক স্ট্রিমিং সাইট স্পটিফাইতে এক বিলিয়ন স্ট্রিমিং হওয়া প্রথম গান এটি। গানটির জন্য এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা গানের পুরস্কার জেতেন তিনি। এ ছাড়া তার আরেকটি গান ‘প্লিজ প্লিজ প্লিজ’ও টপ চার্টগুলোয় ঝড় তোলে।
০৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, সোমবার, সন্ধ্যা ০৭.৩০ মিনিট, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নৃত্যাঞ্চলের প্রাণ-পুরুষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর এর জন্মদিন উপলক্ষে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে ‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ ২০২৪ এর ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষণা ও আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্যাঞ্চলের সকল কলাকুশলীরা মঞ্চে উঠে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নৃত্যাঞ্চল নিয়ে ভাবনা তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত এবং নৃত্যাঞ্চলের সকল কর্ম ও সৃজনে তাঁকে স্মরণ করবার দৃঢ় শপথ নেন।
এরপর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কর্মময় জীবনের উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তাঁর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন বড় ভাই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রহিম, ঢাকা বিশ^বিদ্যায়য়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, বরেণ্য নৃত্যশিল্পী কাজল ইব্রাহিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ সহ অনেক গুনগ্রাহি। এরপর ২০২২ সালের পদক প্রদান ও লোকনৃত্য উৎসবের কিছু অংশ দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করা হয়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির ধামাইল গান ও নৃত্যের বিশিষ্ট গুনীজন ব্যক্তি হিসাবে শ্রীমতি কুমকুম রাণী চন্দ‘কে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪ ভূষিত করে তাঁর নাম ঘোষনা করা হয়।
‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ ২০২৪ এ ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষনা করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সহধর্মিণী মিসেস রেহানা আক্তার ঝর্ণ। এরপর নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীরা পরিবেশন করে ধামাইল নৃত্য। নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্বপ্ন দেখতেন নৃত্যাঞ্চল এদেশের মৌলিক ও স্বক্রিয় ধারার নৃত্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারি ধারাবাহিকতায় নৃত্যাঞ্চল প্রতি দু‘বছর অন্তর লোকনৃত্য উৎসবের আয়োজন করে আসছে। আগামী ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তিনদিন ব্যাপী লোকনৃত্য উৎসব “শিকড়ের সন্ধানে বাংলার লোকনৃত্য” আয়োজনের মাধ্যমে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪ শ্রীমতি কুমকুম রানী চন্দ‘কে প্রদান করা হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও দেশ বরেণ্য নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক শামীম আরা নীপা।
বিয়ের ১৩ বছর পর পরিবারের প্রতি নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে সানি-ড্যানিয়েল দম্পতি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে ড্যানিয়েল ওয়েবারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সানি লিওন। বিবাহের ১৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৩১ অক্টোবর মালদ্বীপে স্বামীর সাথে তারা বিবাহের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করেছেন। এসময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের।
প্রতিবেদনে আরে উল্লেখ করা হয়, সানি ও ড্যানিয়েল আরও আগেই এই আয়োজন করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তানদের পরিবারের এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য বোঝানোর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
তাই সন্তানদের স্কুলের ছুটি থাকায় দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় থাকা এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করে। এই অনুষ্ঠানে সানি লিওন ও ড্যানিয়েল দুজনেই তাদের লিখিত প্রতিজ্ঞা পড়ে শুনিয়েছেন এবং তাদের তিন সন্তান পরিবার বলতে কি বোঝে তা উল্লেখ করেছেন। এক পর্যায়ে ড্যানিয়েল সানি লিওনকে রিং গিফট করে মুহূর্তটি আরো উপভোগ্য করে তুলেছেন।
মালদ্বীপে এই আয়োজন করার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানি লিওন দম্পতির অবকাশ যাপনের জন্য পছন্দের জায়গাগুলোর একটি হলো মালদ্বীপ। তাই তারা এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য মালদ্বীপকে বেঁছে নিয়েছে।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের গুণের শেষ নেই। তবে তারকা হওয়ার আগেই ধূমপানের নেশা তাকে পেয়ে বসে। এই বদঅভ্যাস তিনি সর্বশেষ ৩০ বছর ধরে ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু কিছুতেই তিনি সেটি পারেননি। বরং চেইন স্মোকার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে শাহরুখের। ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি দিনে প্রায় ১০০টি সিগারেট পান করি। আর খাবার খেতে ভুলে যাই। আমি পানি পান করি না। দিনে প্রায় ৩০ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করি। আর হ্যাঁ, আমার কিন্তু সিক্স প্যাক আছে। এছাড়াও মজা করে তিনি বলেছিলেন, আমি নিজের যত কম খেয়াল রাখি, ততই খেয়াল রাখা হয় আমার।অবশেষে জীবন থেকে ধূমপানকে বিদায় দিতে সফল হয়েছেন এই মেগা স্টার।
গত ২ নভেম্বর ৫৯ বছরে পা রাখলেন কিং খান। এ উপলক্ষে ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। সেখানে খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠেন। কেক কেটে উদযাপনও করেন। একইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত অভ্যাস নিয়েও চাঞ্চল্যকর কথা বলেন এ অভিনেতা। জানান, ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। যা শুনে হতবাক সবাই।
তবে শাহরুখ এও বলেন, ‘আমি কখনোই তাদের আইডল হতে পারবো না যারা স্মোমিং করেন না কিংবা স্মোমিং ছাড়তে চেষ্টা করছেন। কারণ, আমারই ৩০ বছর লেগেছে। তবে এটা বলতে চাই যে, স্মোকিং আমাদের শরীরের জন্য খুব খারাপ। আপনারা যদি স্মোকিং করে থাকেন তাহলে যত দ্রুত পারেন ছেড়ে দিন। জীবনের যে কোন প্রান্তে এসে আপনি সেটি করতে পারেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শাহরুখ খান মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা প্রসঙ্গে বলেন, একটি ভালো খবর আছে। আমি আর ধূমপান করছি না। তার এ কথা শোনার পর অবাক হন উপস্থাপক। আর সঙ্গে সঙ্গে কড়তালিতে ভরে যায় অডিটোরিয়াম।
দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস বাদ দেয়ার পর এখন কেমন অনুভব হচ্ছে, সেটিও জানিয়েছেন এ অভিনেতা। জানান, তিনি আশা করেছিলেন হাঁপিয়ে উঠার সমস্যা কমবে। তবে এখনো ধূমপানের প্রভাব বুঝতে পারেন।
এ সময় মঞ্চের সামনে থাকা অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেন, আমি ভেবেছিলাম যে আগের মতো শ্বাসের সমস্যা হবে না। কিন্তু এখনো সেই প্রভাব বুঝতে পারি। অর্থাৎ, ধূমপান ছাড়লেও এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেননি। আর এটাও ঠিক হয়ে যাবে বিশ্বাস রেখে বলেন, ইনশাআল্লাহ সেটাও ঠিক হয়ে যাবে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান স্বীকার করেছিলেন যে, তার সিগারেটের পাশাপাশি ক্যাফেইন গ্রহণের অভ্যাস রয়েছে।