কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মুক্ত প্ল্যাটফর্ম শর্ট ফিল্ম কর্নারে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘যুদ্ধটা ছিল স্বাধীনতার’। এর ইংরেজি নাম ‘দ্য আনসাং’। ১৯৭১ সালের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এটি।
কানের ৭২তম আসরের শর্ট ফিল্ম কর্নারে সারাবিশ্ব থেকে কয়েক হাজার চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে বিভিন্ন দেশের মোট ৯২৪টি চলচ্চিত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কানের ভিডিও লাইব্রেরিতে। এর মাধ্যমে পরিবেশনা নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
‘যুদ্ধটা ছিল স্বাধীনতার’ পরিচালনা করেছেন আশরাফ শিশির। তিনি বলেন, ‘কান শর্ট ফিল্ম কর্নারে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র, তাই আমার ভালো লাগার মাত্রাটা বেশি। বিশ্বে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের বাজার বৃদ্ধি করার একটি প্রচেষ্টা এটি।’
‘যুদ্ধটা ছিল স্বাধীনতার’ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কলম্বিয়া, ইরান, রাশিয়া, ইতালি, নাইজেরিয়া ও ভারতের ১৪টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে সনদ পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ছবিতে অভিনয় করেছেন অরণ্য রানা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সাইফুল ইসলাম শুভ, আবদুর রহমান রাজীবসহ অনেকে। সংগীত পরিচালনায় রাফায়েত নেওয়াজ, চিত্রগ্রহণে নাহিদ বাবু, সম্পাদনায় সাব্বির মাহমুদ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ডিজিসুগার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদানের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ, অভিনেত্রী অপি করিম ও নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসিসহ জুরিবোর্ডের ১৩ সদস্যের একটি তালিকা পাওয়া যায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের এই জুরিবোর্ড গঠনের দেড় মাসের মাথায় আবারও পুনর্গঠন করে নতুনভাবে আবারও প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এবার ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রিন্স মাহমুদ, অপি করিম ও জাহিদুর রহিম অঞ্জনের বদলে মিলল অন্যদের নাম।
তবে ইলিয়াস কাঞ্চন এই বোর্ডে কাজ করতে না পারার অপারগতা আগেই জানিয়েছিলেন। বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে নাকি নিজেরাই অব্যাহতি নিয়েছেন, সেটা জানা যায়নি।
গত সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় নতুন চার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কথা। তারা হলেন অভিনেত্রী সুচরিতা, অভিনেতা নাঈম, সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু এবং নির্মাতা সাঈদুর রহমান সাঈদ।
এর বাইরে পদাধিকার অনুযায়ী জুরিবোর্ডের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র)। সদস্যসচিব হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ঢাকার ভাইস চেয়ারম্যান, সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা প্রধান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
জুরিবোর্ডে আরও রয়েছেন চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি এস এম ইমরান হোসেন এবং সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন।
জুরিবোর্ডের কার্যপরিধি সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পর্যবেক্ষণপূর্বক পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র, শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাম সুপারিশ করবে এই জুরিবোর্ড। আজীবন সম্মাননাসহ ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে।
চিত্রনায়ক নাঈম বলেন, ‘রাষ্ট্র আমাকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি যথাযথভাবেই পালন করার শতভাগ চেষ্টা করব। যেহেতু আমি সিনেমাতে শুধু অভিনয় করিনি, পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনা করেছি, গল্প নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে, কাহিনিকারের সঙ্গে বসেছি, সিনেমা এডিটিংয়ের সময় এডিটরের সঙ্গে বসেছি, মিউজিকের কাজ করার সময় বসেছি, দেশের অনেক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে কাজ করেছি। তাই অভিনয়ের বাইরে সিনেমার নানান দিক সম্পর্কে আমি মোটামুটি বেশ ভালো জানি বা বুঝি। তাই আমি আমার ওপর এই অর্পিত দায়িত্ব ঠিকঠাকেভাবে পালন করার চেষ্টা করব। কারণ আমি বিশ্বাস করি, যদি ভুল বিচার করি, পক্ষপাতিত্ব করি, তবে আমাকে এর জবাবদিহি করতে হবে কোনো একদিন। তাই আমি আমার কাজটা শতভাগ সততার সঙ্গেই করব ইনশাআল্লাহ।’
মেগাস্টার সালমান খানের ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’সহ বলিউডের বহু সিনেমায়ে গান গাওয়া ভারতের লোকগানের বরেণ্য শিল্পী সারদা সিনহা মৃত্যু বরণ করেছেন। গতকাল (৫ নভেম্বর) রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর তার ছেলে অংশুমান সিনহা নিশ্চিত করেন।
গত ২৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ‘পদ্মভূষণ’জয়ী এই গায়িকা। দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল ৭২ বছর বয়সি এই শিল্পীকে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।
ছেলে অংশুমান সিনহা ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘তোমার প্রার্থনা এবং ভালোবাসা আমাদের সঙ্গে সবসময় থাকবে মা। ছটি মাইয়া ওকে নিজের কাছে ডেকে নিলেন। এই নশ্বর পৃথিবীতে উনি আর নেই আমাদের সঙ্গে।’
২০১৭ সালে শারদা সিনহার মাল্টিপল মায়েলোমা ধরা পড়ে। এটি এক ধরনের ক্যানসার, যা বোন ম্যারোকে আক্রান্ত করে। গত সেপ্টেম্বরে শারদার স্বামী রাজনীতিবিদ ব্রজ কিশোর স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। পুত্র ছাড়াও এ দম্পতির বন্দনা নামে একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
তার মৃত্যুর খবর শুনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন বলিউডের বিখ্যাত পরিচালন অনুরাগ ক্যাশপ। তার সাড়া জাগানো ছবি ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এ গেয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত সারদা সিনহা। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন এই ছবির অভিনেতা মনোজ বাজপায়ী ও অভিনেত্রী হুমা কুরেশি।
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কবিতা শেঠ সারদার সঙ্গে সুন্দর একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না যে সারদাি জি চলে গেছেন। ইশ যদি খবরটা মিথ্যা হতো! আমাকে এতো স্নেহ দিয়েছেন তিনি যে তাকে হারানোর এই বেদনা কোনদিন ভুলতে পারবো না। তার মতো বিদগ্ধ শিল্পীর চলে যাওয়া সঙ্গীতাঙ্গনের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি।’
১৯৫২ সালের ১ অক্টোবর বিহারে জন্মগ্রহণ করেন শারদা সিনহা। আশির দশকের শুরুতে তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু। মৈথিলী, ভোজপুরি, মাগধী ভাষার একাধিক গানও গেয়েছেন তিনি। তার গাওয়া ছট পূজার গান দারুণ জনপ্রিয়।
এবারের মার্কিন নির্বাচনে ৩৫ হাজার ৮১৪ জন ভোটারকে নিবন্ধন করেছেন কার্পেন্টার। এ ছাড়া আরও ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭ জন ভোটারের নিবন্ধনের পেছনেও তার অবদান রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ ভোটার নিবন্ধনের পেছনে সাবরিনার সরাসরি অবদান রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটি।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংগীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেডকাউন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, এবারের মার্কিন নির্বাচনে একক শিল্পী হিসেবে ভোটার নিবন্ধনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন সাবরিনা।
চলতি বছরের অন্যতম এই আলোচিত গায়িকা ২৭ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধনের পেছনেও অবদান রেখেছেন। চলতি বছর ‘একপ্রেসো’ গায়িকার আলোচিত সংগীত সফর ‘শর্ট অ্যান্ড সুইট’ এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে। প্রতিটি ট্যুরেই গানের সঙ্গে নিজের ভক্ত-অনুসারীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী মার্কিন গায়িকা।
ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, সাবরিনা ছাড়াও এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে বড় অবদান রেখেছেন আরেক জনপ্রিয় গায়িকা আরিয়ান গ্রান্ডেও।
সাবরিনা কার্পেন্টার এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকাদের একজন। চলতি বছর তিনি ‘এসপ্রেসো’ গানটি দিয়ে অনেক রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘টাইম’-এর ‘টাইম ১০০ নেক্সট ২০২৪’-এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সাবরিনা।
গত ১১ এপ্রিল ‘এসপ্রেসো’ মুক্তি পাওয়ার পরই গানটি যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশের টপ চার্টের শীর্ষে ছিল। মিউজিক স্ট্রিমিং সাইট স্পটিফাইতে এক বিলিয়ন স্ট্রিমিং হওয়া প্রথম গান এটি। গানটির জন্য এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা গানের পুরস্কার জেতেন তিনি। এ ছাড়া তার আরেকটি গান ‘প্লিজ প্লিজ প্লিজ’ও টপ চার্টগুলোয় ঝড় তোলে।
০৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, সোমবার, সন্ধ্যা ০৭.৩০ মিনিট, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নৃত্যাঞ্চলের প্রাণ-পুরুষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর এর জন্মদিন উপলক্ষে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে ‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ ২০২৪ এর ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষণা ও আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্যাঞ্চলের সকল কলাকুশলীরা মঞ্চে উঠে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নৃত্যাঞ্চল নিয়ে ভাবনা তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত এবং নৃত্যাঞ্চলের সকল কর্ম ও সৃজনে তাঁকে স্মরণ করবার দৃঢ় শপথ নেন।
এরপর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কর্মময় জীবনের উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তাঁর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন বড় ভাই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রহিম, ঢাকা বিশ^বিদ্যায়য়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, বরেণ্য নৃত্যশিল্পী কাজল ইব্রাহিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ সহ অনেক গুনগ্রাহি। এরপর ২০২২ সালের পদক প্রদান ও লোকনৃত্য উৎসবের কিছু অংশ দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করা হয়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির ধামাইল গান ও নৃত্যের বিশিষ্ট গুনীজন ব্যক্তি হিসাবে শ্রীমতি কুমকুম রাণী চন্দ‘কে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪ ভূষিত করে তাঁর নাম ঘোষনা করা হয়।
‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ ২০২৪ এ ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষনা করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সহধর্মিণী মিসেস রেহানা আক্তার ঝর্ণ। এরপর নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীরা পরিবেশন করে ধামাইল নৃত্য। নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্বপ্ন দেখতেন নৃত্যাঞ্চল এদেশের মৌলিক ও স্বক্রিয় ধারার নৃত্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারি ধারাবাহিকতায় নৃত্যাঞ্চল প্রতি দু‘বছর অন্তর লোকনৃত্য উৎসবের আয়োজন করে আসছে। আগামী ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তিনদিন ব্যাপী লোকনৃত্য উৎসব “শিকড়ের সন্ধানে বাংলার লোকনৃত্য” আয়োজনের মাধ্যমে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪ শ্রীমতি কুমকুম রানী চন্দ‘কে প্রদান করা হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও দেশ বরেণ্য নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক শামীম আরা নীপা।