ডেটা কেলেঙ্কারিতে ফেসবুকের ৫ লাখ ইউরো জরিমানা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ/ ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ/ ছবি: সংগৃহীত

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে পাঁচ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্যের ডেটা সংরক্ষণ সংস্থা।

যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে আইন অনুযায়ী ফেসবুক একটি মারাত্মক নিয়মলঙ্ঘন করেছে।

বিজ্ঞাপন

পুরাতন ডেটা রক্ষণ আইনের অধীনে এটাই সর্বোচ্চ জরিমানা, আইনটি গত মে মাসে জিডিপিআর কার্যকরের আগে প্রয়োগ করা হতো।

তথ্য কমিশনারের কার্যালয় জানায়, সুষ্পষ্ট সম্মতি ছাড়া সাধারণ মানুষের ডেটায় অ্যাপ ডেভেলপারদের প্রবেশাধিকার দেয় ফেসবুক।

বিজ্ঞাপন

গত জুলাই মাসে তথ্য কমিশনারের কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে ইঙ্গিত দেয় যে, এটি সর্বোচ্চ জরিমানা করতে যাচ্ছে।

জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য কমিশনারের কার্যালয় জানায়, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ফেসবুক তার গ্রাহকদের অনুমতি ব্যতিত তাদের ব্যক্তিগত তথ্যে অ্যাপ ডেভেলপারদের অবৈধ প্রবেশাধিকার দেয় এবং যে সকল ব্যবহারকারী অ্যাপটি ডাউনলোড করেননি কিন্তু যারা ডাউনলোড করেছেন তাদের বন্ধু তালিকায় আছেন, তাদের তথ্যেও প্রবেশাধিকার দেয় ফেসবুক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেসবুক ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে কারণ এটি তার ভিত্তি ব্যবহার করে কাজ করা অ্যাপ ও ডেভেলপারদের ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেনি।

এদিকে ফেসবুক বলছে যে প্রতিষ্ঠানটি তথ্য কমিশনারের কার্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক বলে, আমরা তদন্তে প্রাপ্ত কিছু বিষয়ের সাথে সম্মানের সহিত দ্বিমত পোষণ করলেও, এর আগে বলেছি যে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা অভিযোগ ও ২০১৫ সালে নেওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে আমাদের আরও তদন্ত করা উচিৎ।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারি

গবেষক ড. আলেকজান্ডার কোগান ও তার কোম্পানি জিএসআর ফেসবুকের প্রায় ৮৭ মিলিয়ন মানুষের তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে একটি ব্যক্তিত্ব কুইজ ব্যবহার করেছিল।

এ তথ্যগুলোর কিছু ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সাথে ভাগাভাগি করা হয়েছিল, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছিল।

তথ্য কমিশনারের কার্যালয় জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অপব্যবহৃত হওয়া ডেটাগুলো উদঘাটনের পরেও ফেসবুক যাদের কাছে তথ্যগুলো ছিল সে বিষয়ে পর্যাপ্ত ও সময়মত প্রতিকারমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়নি, এমনকি তথ্যগুলো মুছার ব্যাপারেও।