বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন জরুরি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা, ছবি: সংগৃহীত

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা, ছবি: সংগৃহীত

জনবান্ধব স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ও কোটি মানুষের হাতের কাছে পাবলিক টয়লেট সুবিধা পৌঁছে দিতে আরো বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন জরুরি বলে মনে করছেন নগরের মেয়ররা।

দেশের পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীতে দৈনিক ভোরের কাগজ এবং ওয়াটারএইড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মতামত তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-এর মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনগুলোর পাবলিক টয়লেট সংস্কৃতিতে এক নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে। এ ধারা এগিয়ে নিতে হলে আরো বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন ও কোটি মানুষের হাতের কাছে এ সুবিধা পৌঁছে দেয়া জরুরী।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-এর মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে মার্কেট, রেস্তোরা সহ জনসমাগমস্থলে আরও বেশি বেশি পাবলিক টয়লেট বানাতে হবে।’

সিলেট সিটি করপোরেশন-এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশের পাবলিক স্যানিটেশনের সার্বিক অবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হলেও বিষয়টি নিয়ে মানুষের অনেক ভোগান্তি রয়েছে।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম মাহমুদ হাসান, ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলোর পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থার উন্নয়নে আরো বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনসমূহের নেতৃত্বে বিগত ৫ বছরে ওয়াটারএইড এর সহযোগিতায় ৩৭টি আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে নতুন উদহারণ তৈরী করা হয়েছে। নির্মিত এ টয়লেটগুলো ৯০ লক্ষ বারেরও বেশী ব্যবহার করা হয়েছে, যা এ সেবার উন্নয়নের এক বড় মাপকাঠি।’

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত দেশের সেরা পাবলিক টয়লেট, পাবলিক টয়লেটের শ্রেষ্ঠ সেবক (পুরুষ ও মহিলা), সেরা ফুয়েল ষ্টেশন টয়লেট ও সেরা হাইওয়ে টয়লেট এর প্রতিনিধিদের পুরস্কৃত করা হয়।

দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ওয়াটারএইড সুইডেনের প্রধান নির্বাহী, সিসিলিয়া চ্যাটার্জী মারটিনসেন ও সিডা’র ফাষ্ট সেক্রেটারী লিসা এন্ডারসন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচী পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।