চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলায় দুই মোটরসাইকেলের পাশাপাশি সংঘর্ষে মো. সুজন হাজী (৩৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দু'জন। তাদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের বাকিলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত মো. সুজন হাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া লোদেরগাঁও হাজী বাড়ির খোরশেদ আলম হাজীর ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, দুই মোটরসাইকেল প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরো দু'জন। প্রথমে তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের জরিমানা দিয়ে ফিরতে হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, লেবাননে থাকা অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের দেশে ফেরত যেতে হলে সে দেশের জেনারেল সিকিউরিটি অফিসে (আমলনামা) প্রয়োজনীয় সার্ভিস চার্জ ও জরিমানা দিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ।
আরও জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে জেনারেল সিকিউরিটি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লেবানন প্রবাসী অনিয়মিত কর্মীদের দেশে পাঠানোর বিষয়টি উপযুক্ত সময়ে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে।
লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে আগ্রহী প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে যারা দূতাবাস নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে যাদের–
ক. মেয়াদসহ মূল পাসপোর্ট আছে কিন্তু আকামার মেয়াদ নেই অথবা আকামা সংগ্রহ করেনি;
খ. মূল পাসপোর্ট আছে কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ;
গ. মূল পাসপোর্ট নেই, শুধু ফটোকপি আছে;
ঘ. শুধু বিএমইটি বা ম্যান পাওয়ার কার্ড আছে এবং
ঙ. পাসপোর্ট বা আকামা বা বিএমইটি বা ম্যান পাওয়ার কার্ড নেই, শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ আছে; এ ধরনের ব্যক্তিরা লেবাননে অনিয়মিত কর্মী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন।
জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের ফ্রন্টডেস্ক নম্বর: ৭১২১৭১৩৯, হেল্পলাইন নম্বর: ৮১৭৪৪২০৭-এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে দেশে ফিরতে আগ্রহী প্রথম দফায় ১১৯ জন প্রবাসীর তালিকা প্রকাশ করেছে বৈরুত দূতাবাস। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দূতাবাসে জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উৎমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে রংপুরের ৮৩৫টি মণ্ডপে পালন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজার উৎসব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহাষষ্ঠী থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলায় দুর্গার বিসর্জনে বিদায় জানাচ্ছেন ভক্তরা৷
রোববার ( ১৩অক্টোবর) মহাদশমী উপলক্ষে রংপুরের প্রতিটি মন্ডপে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে এবছরেরর মত বিদায় দেয়া হলো দেবী দুর্গাকে। বিভিন্ন মন্দিরে আজকের এই দিনে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মাঝে সিঁদুরের লাল রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে ভক্তরা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রংপুরের পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনের পূর্বে হয়েছে সিঁদুর খেলা। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিঁদুর নিয়ে উৎসবে মেতেছেন ভক্তরা। দেবী দুর্গার আশীবাদের সিঁদুর লাগিয়ে পূর্ণতা দিচ্ছেন দেবীর বিদায় জানানোর ঐতিহ্যবাহী রীতিতে।
শাস্ত্রমতে, পূজা-অর্চনা এবং অঞ্জলি শেষে মন্দিরের প্রাঙ্গণে শুরু হয় সিঁদুর খেলা। দেবী দুর্গার প্রতিমায় সিঁদুর অর্পণ করছেন। সকাল থেকে দেবীর বিদায় উপলক্ষে শেষ মূহূর্তের আনন্দ ও বিদায় সমবেদনায় মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।একে অন্যের কপালে সিঁদুর দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন। আর সেই সাথে ঢাকের তালে তালে নাচ গানে পুরো মণ্ডপ জুড়ে চলছে আনন্দের ঢেউ।
রংপুরের প্রধান প্রধান পূজামণ্ডপগুলোতে আজ দিনভর চলছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। দুপুরের পর থেকে প্রতিটি মণ্ডপে চলছে প্রস্তুতি। শহরের বিভিন্ন বিলে ও পুকুরে বিকেলে দিকে দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে
দুর্গোৎসব।
সমাজে বিরাজমান অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে এসে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষরিত শারদীয় দুর্গাপূজার এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ কথা বলেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম একথা জানান।
টাঙ্গাইল কুমুদিনী কমপ্লেক্সের পূজা উদযাপন কমিটির নিকট এ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়।
শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধান বিচারপতি বলেন, আবহমান কাল হতে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শারদোৎসব উদযাপনের সংস্কৃতি আমাদেরকে ভ্রাতৃত্ববোধ, বহুত্ববাদ, সহিষ্ণুতা ও একত্রে পথচলার শিক্ষা দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই উদাহরণ একদিকে যেমন আমাদেরকে ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য লড়াই করতে শেখায়, তেমনিভাবে আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ, তথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার সুরক্ষায় আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে- তা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, সমাজে বিরাজমান অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে এসে একত্রে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে, আইন পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ন্যায়ের পথে থেকে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরতিহীনভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের প্রয়াত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী পুজামণ্ডপসহ কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
প্রধান বিচারপতির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁঞা ও স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন।