ফরম পূরণের অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা ফেরত দিলো দুই স্কুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাড়াশি অভিযানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি হিসেবে আদায় করা প্রায় ১০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে দুই স্কুল। এর একটি নরসিংদীর একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও অন্যটি খুলনার নৌ বাহিনী বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) অভিযোগের ভিত্তিতে নরসিংদী ও খুলনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টিতে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। এই টিমের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ অভিযানে এই প্রথম দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে নেওয়া টাকা ফেরত নেয় দুদক।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বার্তা২৪ কে বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী ও উপ সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং  দুদকের খুলনা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবুল হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্য বিশিষ্ট একটি দল বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিযান পরিচালনা করেন।  
অভিযানে একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সময় নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করার প্রমান বেরিয়ে আসে। পরে বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদির মৃধা ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অবৈধ টাকা ফেরত দেবেন মর্মে দুদক সদর দফতরে এসে মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর কাছে অঙ্গীকার করেন।

অপর অভিযানে খুলনার বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২১৫ এসএসসি পরীক্ষাথীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সময় নির্ধারিত ফি দুই হাজার ২০ টাকা নেয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আট হাজার ৪৫০ টাকা নেয়ার কথা উঠে আসে। পরে অবৈধভাবে অতিরিক্ত নয় লাখ ১০ হাজার ৩৮০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ নজরুল ইসলাম তা দুদকে ফেরত দেন।
 
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনভাবেই বাণিজ্যিক উদ্দেশে পরিচালিত হতে পারে না। সরকার তথা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা নেওয়া অনৈতিক। এসব অপরাধ বন্ধে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।