বরিশাল: বরিশালের পোর্ট রোডস্থ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রুপালি ইলিশের পাশাপাশি দ্বিগুণ হারে আসছে জাটকাও।
যদিও সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে যে ১০ ইঞ্চির নিচে ইলিশ শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পোর্ট রোডে বিক্রি হচ্ছে এই জাটকা ইলিশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পোর্ট রোডের খুচরা মৎস বাজারের দোকানগুলোতে ডেকে ডেকে জাটকা বিক্রি করছে বিক্রেতারা। আর প্রতি কেজি জাটকা ৩০০-৩৫০ টাকা দামে বিক্রয় হচ্ছে।
খুচরা মাছ ব্যবসায়ী নাছির হোসেন বলেন,`আমরা জেলে না, মাছ বিক্রেতা। ফলে জেলেরা যে মাছ বিক্রয় করবে, তা ক্রয় করেই আমাদের বিক্রি করতে হয়। আর এই মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে।‘
জানা গেছে, জাটকা ইলিশের অধিকাংশ চালান আসে ভোলা জেলার চরফ্যাশন, লালমোহন ও মনপুরা উপজেলা থেকে। এছাড়াও বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, আমতলী ও পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থেকে জাটকার চালান এসে থাকে।‘
এদিকে পোর্ট রোডস্থ মৎস অবতরণ কেন্দ্রে প্রতি মণ জাটকা বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায়।
বরিশাল জেলা মৎস কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জাটকা বিক্রির বিষয়ে জানান, ইলিশের চাহিদা মতো আমদানি না থাকায় জেলেরা কারেন্ট জাল বেশি ব্যবহার করছে। আর এর ফলে জালে জাটকা ইলিশ বেশি মারা পরছে। নভেম্বর থেকে জুন মাসে জাটকা ক্রয়, বিক্রয় এবং ধরা সম্পূর্ণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাকি সময়ে জাটকা ধরতে পারবে বলে জানান তিনি।
ভোলা থেকে আসা সুমন মাঝি জানান, ইলিশ ধরতে গেলে সঙ্গে অল্প কিছু জাটকাও উঠে আসে। সেগুলো জাল টেনে তোলার আগেই মারা যায়। ফলে বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইজারাদার ও মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল বলেন,`আমি বিক্রেতাদের জাটকা বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু জাটকা শিকার বন্ধ না হলে বিক্রিও বন্ধ হবে না।‘