জামাত নিষিদ্ধ হওয়ায় কাশ্মীরে ৩২৫টি স্কুল বন্ধ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জঙ্গিদমন আইনে নিষিদ্ধ হয়েছে কাশ্মীরের সংগঠন জামাত-ই-ইসলাম। তার জেরে ঘুম কেড়ে নিয়েছে কাশ্মীরের এক লক্ষ পড়ুয়া ও তাদের পরিবারের। এই ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনটি অন্তত ৩২৫টি স্কুল চালায় ভূ-স্বর্গে। এর আগে জামাতের প্রধানসহ তিনশোর বেশি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাতে বড়সড় প্রশ্নের মুখে স্কুলগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে। স্কুল প্রশাসনের মুখেও কুলুপ। পিডিপি (পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি শনিবার বলেন, জামাতকে নিষিদ্ধ করার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। এই স্কুলের পড়ুয়ারা রাজ্যের পরীক্ষায় ভালো স্থান অধিকার করে। স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে এদের কী হবে!

পুলওয়ামার ঘটনার পরই উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির উপর সরকারি নজরদারি বাড়ানো হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউএপিএ আইনে পাঁচ বছরের জন্য জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ, জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জামাতের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ঘোষণার পরই তিনশোরও বেশি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ঘর, বাড়িসহ বিভিন্ন সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বহু নেতাকর্মীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জম্মু-কাশ্মীরে অন্তত ছয় হাজার সদস্য রয়েছে জামাতের। স্কুল, অনাথ আশ্রম, ত্রাণ সংগঠনসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান চালায় জামাত। প্রাইভেট স্কুলস অ্যাসোসিয়েশন অব জম্মু-কাশ্মীরের হিসেব বলছে, ওই রাজ্যে সবমিলিয়ে অন্তত ৩২৫টি স্কুল চালায় জামাত। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া যায় এই স্কুলগুলিতে। পড়ুয়া লাখ খানেক। উপত্যকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ স্কুলগুলিতে চাকরি করেন।

১৯৬৫ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত ভারতের বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল জামাত। ১৯৭২ সালে ৮৭ সদস্যের বিধানসভায় পাঁচটি আসন জেতে তারা। ইন্দিরা গান্ধীর আমলেও জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠে। এ বার কী, সে দিকেই তাকিয়ে কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলাম।

বিজ্ঞাপন