কলকাতায় নজরুলচর্চায় ছায়ানট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ছায়ানট কলকাতার অনুষ্ঠান, ছবি:বার্তা২৪.কম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ছায়ানট কলকাতার অনুষ্ঠান, ছবি:বার্তা২৪.কম

কলকাতা থেকে: প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছায়ানট নজরুলচর্চায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। এক দশকের পথচলায় তা কলকাতার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গভীর প্রভাব সৃষ্টি করেছে।

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সোমঋতা মল্লিকের উদ্যোগে ছায়ানট কলকাতার সূচনা হয় দশ বছর আগে। নিয়মিতভাবে 'নজরুলমেলা'-এর আয়োজন ছাড়াও কবি নজরুল ইসলামের গান, কবিতা, নাটক নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন চর্চা করছে ছায়ানট। কলকাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে এবং দক্ষিণ ভারতে অনুষ্ঠান করেছে ছায়ানট।

বিজ্ঞাপন

এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার নিউটাউনের নজরুলতীর্থ মঞ্চে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছায়ানট বাংলাদেশ ও ভারতের তিন শ শিল্পী, গায়ক, আবৃতিকারের বিশাল সমাবেশ ঘটায়। 'সীমানা ভুলে একই সুরে, রবীন্দ্র-নজরুলে' শীর্ষক অনুষ্ঠানমালায় বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে কথা ও গানের বর্ণাঢ্য আয়োজন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও ছায়ানট কলকাতার সভাপতি সোমঋতা মল্লিকের পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও পরিচালনায় ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একুশের স্মৃতিবিজড়িত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন কলকাতায় প্রথম বারের মতো বাংলা ভাষা আন্দোলনকে উপস্থাপন করেছে বিশাল আঙিকে। দুই বাংলার মিলিত উদ্যোগে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির পক্ষে একসাথে কাজ করার চেতনার জাগৃতি ঘটানোর কৃতিত্ব ছায়ানটের।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/28/1551337435949.jpg

ছায়ানট কলকাতার কর্ণধার শিল্পী সোমঋতা মল্লিক বার্তা২৪.কমের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেন, 'কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পঞ্চকবির গান নিয়ে আমাদের শিল্পীরা সারা বছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে মৈত্রী, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।'

সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে ছায়ানটের কার্যক্রমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করে ছায়ানট প্রধান শিল্পী সোমঋতা মল্লিক বলেন, 'সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীতের চর্চা যত বাড়বে, বাঙালির ঐক্য ও সম্প্রীতি ততই ঋদ্ধ হবে। বাঙালির উন্নয়ন, বিকাশ, শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যত বিনির্মাণের জন্য ছায়ানট কলকাতা সকলকে নিয়ে কাজ করে যাবে।'

অচীরেই বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা আছে ছায়ানট কলকাতার। এজন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও ছায়ানটের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শিল্পী সোমঋতা মনে করেন, 'বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সমন্বিত উদ্যোগ ও সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই।'