শেষ হলো পবিত্র কাবা ধোয়ার উৎসব

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে কাবার ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, ছবি: সংগৃহীত

চলছে কাবার ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, ছবি: সংগৃহীত

মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ঘর কাবা। পবিত্র কাবার ভেতরের অংশ প্রত্যেক বছর দু’বার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর, ১৭ মহররম, ১৪৪১ হিজরি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় চলতি বছর প্রথম বারের মতো পবিত্র কাবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়। এ সময় সৌদি বাদশাহ সালমানের পক্ষে মক্কা নগরীর গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল কাবা শরিফ পরিচ্ছন্নতার কাজে নেতৃত্ব দেন।

এ সময় মক্কার গভর্নর কাবা শরিফের প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস, মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কাবা চত্বরে আসেন।

বিজ্ঞাপন
কাবা ধোয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষীরা কাবা ঘিরে রাখে, ছবি: সংগৃহীত

আগে থেকেই কাবার গায়ে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো ছিল। এরপর সবাই কাবা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা পবিত্র জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ধোয়ামোছার কাজ করেন।

কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। এ সময় কাবা শরিফের চারদিকে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

পবিত্র কাবা ধোয়ার পর বের হয়ে হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতঃপর কাবা তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করেন।

কাবা ধোয়া শেষে বের হয়ে আসছেন মক্কার গভর্নরসহ অন্যরা, ছবি: সংগৃহীত

মহররম মাসে পবিত্র কাবা ধোয়া হলেও আরাফার দিন (৯ জিলহজ) কাবার গিলাফ বদলানো হয়। আর কাবা ধোয়াকে সৌদি সরকার সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা একটা উৎসবও বটে।

কারণ কোরআন ও হাদিসে বায়তুল্লাহর মর্যাদা দান, একে পবিত্র রাখা ও পরিশুদ্ধ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্য, নামাজে দণ্ডায়মানদের জন্য এবং রুকু-সেজদাকারীদের জন্য।’ -সূরা হজ: ২৬

মসজিদে হারামে প্রবেশ করছেন শায়খ সুদাইসহ অন্যরা, ছবি: সংগৃহীত

কাবা ঘর পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নবীর একটি আদর্শ। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সাহাবায়ে কেরামদের সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘরে প্রবেশ করে বাহ্যিক ও মৌলিকভাবে কাবা ঘরের পরিশুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেন।

কাবা ধোয়া শেষে কাবার ভেতর থেকে বের হয়ে আসছেন মক্কার গভর্নরসহ অন্যরা, ছবি: সংগৃহীত

নবী করিম (সা.)-এর সেই কাজের অনুসরণে পবিত্র কাবা ধোয়ার এই কাজটি একটি বড় উৎসব হিসেবে পালন হয় করা হয়। উপস্থিত তাওয়াফকারীরা এ সময় আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।