পবিত্র কাবাঘরে প্রবেশের সুযোগ পেলেন ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক এক মাস পর দুই দিনের সফরে ইমরান খান মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।
সৌদি আরবের মদিনায় মোনাওয়ারায় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি সৌদি আরব সফর শুরু করেন। মহানবীর রওজা জিয়ারতকালে তিনি রওজার পাশে নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কিছু সময় কাটান এবং মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি পবিত্র ওমরা পালন করেন। ওমরা পালনের পর তিনি পবিত্র কাবার ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পান। সাধারণত সবার জন্য কাবার ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, খ্যাতিমান ইসলামি স্কলার ও সফল ব্যক্তিত্বরা এ সুযোগ পান। কিন্তু সৌদি আরব সফরকালে ইমরান খান এই সুযোগ পেলেন বাদশাহ সালমানের বদান্যতায়।
ইহরাম গায়ে জড়িয়ে ইমরান খান কাবার ভেতরে প্রবেশ করে নফল নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেন। এ সময় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কাবা ঘরকে ঘিরে রাখে। কাবায় প্রবেশের সময় ইমরান খানের সঙ্গে মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসসহ তার সফরসঙ্গীরা ছিলেন।
এর আগে ইমরান খান সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে মক্কার সহকারী আমির আবদুল্লাহ বিন বানদার, দেশটির গণমাধ্যম বিষয়ক মন্ত্রী ডা. আওয়াদ আল আওয়াদ, জেদ্দার মেয়র সালেহ আল তুর্কি, সৌদিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সাঈদ আল মালকি এবং সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে সৌদি আরব সফরে যান এবং তাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইমরান খানের সফরসঙ্গী হিসেবে সফরে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মুহাম্মদ কোরেশি, অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর এবং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য।