প্রাণ-আরএফএলের বিরুদ্ধে সাড়ে ৬৭ কোটি টাকার ৩ মামলা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের দায়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।

মঙ্গলবার (৭ মে) শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

কাস্টমস আইন ভঙ্গ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বন্ডেড পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ এপ্রিল সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের টিম প্রাণ আরএফএলের রফতানিমুখী তিন বন্ডেড প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত গুদামে (বন্ডেড ওয়্যারহাউজ) বন্ড রেজিস্টারে উল্লেখিত মজুদ অপেক্ষা চার হাজার ১৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। যার শুল্ক করসহ মূল্য ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেয়া শুল্ক করের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৫ লাখ। এ টাকা আদায়ের লক্ষে কাস্টমস আইনে আলাদা আলাদা তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির মামলা দায়ের করে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকায় পাঠানো হয়।'

অভিযান সূত্রে জানা যায়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোম্পানি অল প্লাস্ট বিডি লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী চার হাজার ১১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পণ্য (পিপি, এলডিপিই, এলএলডিপিই, এইচডিপিই, মুদ্রণ কালি ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে দুই হাজার ৮৭৩ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। শুল্কসহ ফাঁকি দেওয়া পণ্যের মূল্য ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোম্পানি ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ১৫০ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পণ্য মজুদ থাকার কথা থাকলেও অভিযানে ৩০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৬৫ লাখ টাকা।

একই গ্রুপের কোম্পানি ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের ইউনিট তিন নামীয় প্রতিষ্ঠানে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী এক হাজার ৭৯২ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন পণ্য (ফিল্ম এলডিপিই ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে এক হাজার ১১৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।