ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সেগুনবাগিচায় এনবিআর-এর সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সেগুনবাগিচায় এনবিআর-এর সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও দুই শতাংশ হারে করপোরেট কর কমানো, দ্বৈত কর পরিহার ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশের উপর কর ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মওকুফ করাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে পেশাজীবী সংগঠন সিএন্ডএফ, শিপিং ফ্রেইট ফরওয়ার্ড, ট্যাক্স ল ইয়ার্স, ইন্ডেন্টরস, আইসিএমএবি, আইসিএবির প্রতিনিধিরা তাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় এনবিআরের একাধিক সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রথম ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

দ্বৈত কর পরিহার করা, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে লভ্যাংশের উপর আয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা ও নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে এসএমই উদ্যোক্তা-মহিলা উদ্যোক্তাদের বাৎসরিক টার্নওভার ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর মওকুফ করাসহ অর্ধশতাধিক প্রস্তাব রাখা হয়।

ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাড. নাসির উদ্দিন আহমেদ ব্যক্তি করদাতাদের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি টাকা করা, মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা হলে যে আয়করের বিধান রয়েছে সেটি পরিবর্তেন করে ২৫ হাজার টাকা করা ও নতুন করদতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করের বোঝা লাঘব করার প্রস্তাব রাখেন।

এছাড়াও হাঁস-মুরগি, দুধের খামার, বনায়ন, শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তিমালিকানাধীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমবায় সমিতির আয়কে সম্পূর্ণ করমুক্ত করার প্রস্তাবসহ ১৯ দফা লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপটেন এ এস চৌধুরী শিপিং খাতের ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ, করপোরেটে কর ও উৎসে কর কমানো এবং আমদানি পণ্যে শুল্ক ও কর মওকুফের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকলস অ্যাসোসিয়েশেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বৈত কর প্রথা বাতিল, অগ্রিম আয়কর প্রতি মেট্রিক টন ৮০০ থেকে ৪০০ টাকা করা, আমদানি শুল্ক ১৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার করা ও ইয়ার্ড ভ্যাট ২৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করতে হবে।

এছাড়াও ক্যামেরা, সিসিটিভি, ডিভিডি, ভিসিপি, ভিসিআর, ফটোকপি মেশিন,টোস্টার, রাইস কুকার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ড্রাই মেশিন, মিউজিক পেন্টয়ার, পেইন্ট,থিনার, হট পট, প্রিন্টার, বেন্টন্ডার মেশিন, বাইনোকুলার, ফার্নিচার  ও টিভি পন্যে কর ও শুল্ক পরিহার করা।

অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ বারী বলেন, ‘জাহাজের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর মওকুফ করতে হবে। এটা হলে এ খাত থেকে বছরে ৪০ মিলিয়ন ডলার আয় আসবে।’