অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, `বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই তাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভ্যাটের উপর নির্ভরশীল। রাজস্ব অগ্রযাত্রায় যে পথে এগিয়ে যাচ্ছি তার মূল চালিকা শক্তি ভ্যাট। আগামী অর্থবছর থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।’
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে শেরে-বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে নিজ কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের টেকনিক্যাল মিশন (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং গত অর্থ বছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমরা চলতি অর্থবছরে ৮.১১ থেকে ৮.২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। আমরা স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষাসহ প্রায় সকল খাতে অগ্রগতি অর্জন করেছি। ১০ বছর পূর্বের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ অনেক তফাত রয়েছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রাকে জনগণের সহযোগিতা অর্জনে সচেষ্ট থাকব। লক্ষ্য যদি বড় থাকে, লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টাও হয় বৃহৎ। সরকার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
নতুন ভ্যাট বাস্তবায়নে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে সরকার। আগামী জুলাইয়ে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ভ্যাট আইনে একাধিক স্তর থাকবে। এক্ষেত্রে সিঙ্গেল রেটের পরিবর্তে সহনীয় মাল্টিপল রেট থাকবে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। এ আইনের আওতায় ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। ইএফডি ক্রয় প্রক্রিয়া এনবিআরে চলমান আছে। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেতা পণ্য কিনলে মূল্য ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পরিশোধ করবে। যা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভ্যাটের দৈনিক ও মাসিক হিসাব পাওয়া যাবে। এমনকি এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীর সব বেচা-কেনার তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে। তাই ভ্যাট ফাঁকির কোনো সুযোগ থাকবে না।’
এছাড়া এই ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস ব্যবহারের জন্য এনবিআরে যে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে তাতে করে একটি বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলেও জানান তিনি।
আইএমএফ’র প্রধান ও সিনিয়র অর্থনীতিবিদ মি. আসকেল সোরেনসেন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমরা এনবিআরের রাজস্ব খাত সংস্কারে অটোমেশনের জন্য প্রয়োজনীয সুপারিশ করবে। মিশনের কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর ব্যবহার উন্নয়নে করণীয় খুঁজে বের করা এবং তা এনবিআর ও অর্থমন্ত্রণালয়কে অবগত করা।’
আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর রাজস্ব খাত সংস্কারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এ লক্ষ্যে একযোগে এনবিআরের সাথে কাজ করারও কথা জানান।
দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ল সোনার দাম। এবার এক লাফে ভরিতে বাড়ছে ২ হাজার ৬১২ টাকা। তাতে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১ টাকা। নতুন এই দর রোববার থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৫৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ২১ অক্টোবর দাবা ইভেন্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব-২০২৪।
এ উপলক্ষে ডিআরইউ'র সাগর-রুনি মিলনায়তনে শনিবার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডিআরইউ'র সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ'র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উৎসবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, ওয়ালটন হাই-টেকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) এবং অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিল্টন।
ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, কার্য নির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন ও রফিক মৃধা।
এবারের আয়োজনে পুরুষ সদস্যদের জন্য ১০টি ইভেন্ট যথাক্রমে-দাবা, ক্যারম (একক), অকশন ব্রিজ, কল ব্রিজ, রামি, অ্যাথলেটিকস (২০০ মিটার) গোলক নিক্ষেপ, সাঁতার, আর্চারি ও শ্যুটিং অনুষ্ঠিত হবে।
নারী সদস্যদের জন্য ৫টি ইভেন্ট- অ্যাথলেটিকস (১০০মিটার), ক্যারম (একক), লুডু, শ্যুটিং ও সাঁতার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদকে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আন্দোলনরত পবিসের কর্মকর্তারা। শৃঙ্খলা ফেরাতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুক্তভোগীদের পরিবার ও সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা পবিস-১ এর জুনিয়র প্রকৌশলী (আইটি) তামজিদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যের শুরুতেই ১৭ অক্টোবর দেশের ৬৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ শাটডাউন করার বিষয়টি পরিকল্পিত ছিল না। ওইদিন সকালে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাকে আটক করলে ক্ষুব্ধ অফিসাররা স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। এরপর মামলা ও ২০ জন কর্মকর্তাকে অব্যাহতির খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয়ভাবে সমিতির কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আমরা এ জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আরইবি কর্তৃক সৃষ্ট অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ এবং সংযুক্ত দুইজনকে পদায়ন করতে হবে। গ্রাহকের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করা এবং স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা, সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা, আরইবির দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেখানে সমঝোতা হবে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর সমাধান করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পরেও আরইবি কর্তৃক সংস্থার চাকরিবিধির বাইরে গিয়ে কোনো প্রকার তদন্ত, কারণ দর্শানো বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হয়রানি করা দুঃখজনক। বর্তমানেও গ্রেফতার আতঙ্কে আমাদের অনেক কর্মকর্তারা স্টেশনে অবস্থান করতে পারছে না। এতে করে আবারও গ্রাহক ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত আরইবির স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ১৭ অক্টোবর আরইবি কর্তৃক উসকানি মূলক পদক্ষেপ হিসেবে ৩১ জন কর্মকর্তাকে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া, মামলা দায়ের ও কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরি হয়। বর্তমানেও বিভিন্ন সমিতিতে কর্মকর্তাদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার জন্য এই পরিস্থিতির পরিত্রাণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দুই দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমরা বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই আন্দোলন করে আসছিলাম। আলোচনার ও অহিংস কর্মসূচি মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের সচেষ্ট ছিলাম। এখন রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, প্রকৃত সত্য মানুষের সামনে আসা উচিত শহর ও গ্রামের বিদ্যুৎ বৈষম্য নিরসন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও উন্নত গ্রাহক সেবার জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সংস্কার প্রয়োজন। সরকারের কাছে আবেদন, প্রকৃত সত্য আড়াল করে কারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনুন। নিরীহ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ ও বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করুন।
সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক তাদের আওতায়। সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত শাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারবাহিকতায় ২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সর্বশেষ ২৭ আগস্ট বিদ্যুৎ ভবনের আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। বৈঠকের পরেই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আবার আন্দোলনে নামে তারা। অন্যদিকে ২০ জনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অব্যাহতি দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম পবিস-১ এর এজিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন, নরসিংদী পবিসের ডিজিএম (টেকনিক্যাল) আব্দুল্লাহ আল হাদী, নরসিংদী পবিস -২ জুনিয়র প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, গাজীপুর পবিস-১ এর ওয়ারিং পরিদর্শক শেখ রহমতুল্লাহ নাজির, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার জাকের হোসেন।
২০২৪ সালের আর্থিক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেটে আর্থিক ঘাতটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতোন রেকর্ড স্থাপন করেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলতি আর্থিক বছরে (২০২৪) বাজেট ঘাটতির দাঁড়িয়েছে ১.৮ ট্রিলিয়ন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেটের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতোন রেকর্ড তৈরি করেছে। কোভিড-১৯ সময়ের পর এটাই সবচেয়ে বড় বাজেট ঘাটতি।
খবরে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবসরকালীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সেইসঙ্গে সামরিকখাতে ট্যাক্স বেড়ে ২০২৪ আর্থিক বছরে মোট ঘাটতির পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১.৮৩৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোভিডের সময়ের পর এ ঘাটতির পর ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ালো।
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালের আর্থিক বছর শেষ হয়। এসময় পর্যন্ত ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ শতাংশ বা ১শ ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
এটি ছিল কোভিড মহামারি পর ৩য় বাজেট ঘাটতি। ২০২০ সালের আর্থিক বছরে বাজেট ঘাটতি ছিল ২.১৩২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১ সালের আর্থিক বছরে ছিল ২.৭৭২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের স্টুডেন্ট লোন প্রোগ্রাম খরচের পর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমে রিজার্ভ হয়েছিল ৩শ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি অদ্ভুতভাবে এখন ২ ট্রিলিয়ন মার্কির ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগের আর্থিক বাজেটের চেয়ে ২০২৪ সালের জিডিপির পার্থক্য বেড়ে ৬.৪ শতাংশ হতে পারে। এটি ৫ নভেম্বরের আগে কমলা হ্যারিসের প্রতিশ্রুতির জন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা ট্রাম্পের জন্য একটি সুযোগ করতে পারে।
তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের বাজেট ডিরেক্টর শালন্দা ইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন ক্লিন এনার্জি, স্থাপনা এবং অ্যাডভান্স ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে পারে।