৮৪১ কোটি টাকায় ২০টি রেল ইঞ্জিন কিনছে সরকার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সরকার টু সরকার (জি টু জি) পদ্ধতিতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি ডিজেল ইলেকট্রিক রেল ইঞ্জিন কিনবে সরকার। কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি এসব ইঞ্জিন সরবরাহ করবে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, 'কোরিয়া থেকে ২০টি এমজি ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) সংগ্রহের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশে সরকার ও কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে।'

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর রেল ভবনে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানির কাছ থেকে এক হাজার ৯৮৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) কিনবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চুক্তি সইয়ের দেড় থেকে ৫ বছরের মধ্যে এসব রেল ইঞ্জিন সরবরাহ করবে কোরিয়ান কোম্পানিটি। প্রতিটি ইঞ্জিন ১৮০০ হর্স পাওয়ার সম্পন্ন ও পরিবেশবান্ধব। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৭৮টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে, এরমধ্যে ১৩৯টি মেয়াদোত্তীর্ণ (২০ বছর হিসাবে) হয়ে গেছে।

এছাড়াও বৈঠকে ভগড়া বাজার ইন্টারসেকশন থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন দুই লেন থেকে চার লেন এবং ১০টি ফ্লাইওভারে নির্মাণে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যয় বাড়ানোর পর এর মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা।

একই প্রকল্পে কালিয়াকৈর বাইপাস থেকে দুলামারি রোড পর্যন্ত দুই লেন থেকে চার লেনে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণসহ ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যয় বাড়ানোর পর এর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৯৫৮ কোটি টাকা। একই প্রকল্পে দুলামারি থেকে টাঙ্গাইল রুটে দুই লেন থেকে চার লেন করতে ২৩২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুওয়াইনস ফার্টিলাইজার থেকে প্রথম লটে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। একই কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ দেড় লাখ টন ইউরিয়া নিরবচ্ছিন্ন আমদানিতে লটভিত্তিক মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে কমিটির আলাদা অনুমোদনের পরিবর্তে বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদনের ক্ষমতা শিল্পমন্ত্রীকে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বৈঠকে ৩২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সচিবালয়ে ২০ তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন প্রকল্প কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। জেকেবি অ্যান্ড কোম্পানি এ কাজ পেয়েছে।