ট্রেড ইউনিয়ন বাতিলে গ্রামীণ টেলিকমের পায়তারা!

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রম অধিদপ্তর থেকে ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি নিলেও তা বাতিলের পায়তারা করছে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই এই প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইনের পুরোপুরি অনুসরণ করা হয় না। ফলে এক রকম তুঘলকি কায়দায় চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

শ্রম অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরে ট্রেড ইউনিয়ন বাতিল করতে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়কে চিঠি দেয় গ্রামীণ কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে দাবি করা হয়, সঠিক অনুসন্ধান না করেই ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরো জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের ১০২ জন কর্মীর মধ্যে ৮৫ জন কর্মী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ট্রেড ইউনিয়নের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে শ্রম অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মীদের তালিকা চায় এবং কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে। এরপর গত ৪ এপিল প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আবারও ট্রেড ইউনিয়নের আবেদন করলে ফের তদন্ত করে অধিদপ্তর। সবশেষে ২৮ মে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের অনুমোদন দেয় শ্রম অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা জানান, মালিকপক্ষ একাধিকবার ট্রেড ইউনিয়ন বাতিল করতে চাপ দিয়ছে। এমনকি ট্রেড ইউনিয়ন বাতিল করা হলে কর্মীদের দাবি মানারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মীরা ইউনিয়ন বাতিল না করায় শ্রম অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি কর্মীদের চাকরিচ্যুত করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন বাতিল করতে অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া সত্যিই হতাশাজনক। যদি ট্রেড ইউনিয়ন বাতিল করা হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের আইনেই কর্মীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিয়েছে। আমাদের ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে কয়েকবার তদন্ত করা হয়েছে। কর্মীরা এই ট্রেড ইউনিয়ন করেছে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য।’

তবে এ বিষয় অবস্থান জানতে যোগাযোগ করা হলে গ্রামীণ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান জার্মানিতে অবস্থান করছেন। ফলে এ বিষয়ে অন্য কেউ কথা বলতে পারবেন না।