একটা সময় তাদের লড়াই নিয়ে নানা কথা উড়তো বাতাসে। অনেকেই বলতেন দুই বোন মিলে নাকি পাতানো ম্যাচ খেলেন। কোর্টে নামার আগেই নাকি ঠিক হয়ে যায় আজ কে জিতবেন! এখন অবশ্য এই প্রসঙ্গটা দুরে সরিয়ে রেখেছেন দুই বোন। কোর্টে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
পেশাদার টেনিস কোর্টে ফের দেখা গেল দুই বোন ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামসের দ্বৈরথ। যেখানে একেবারে অনায়াসে জিতলেন সেরেনা। ৩৬ বছর বয়সী এই মহা তারকা ৬-১, ৬-২ গেমে অনায়াসে বড় বোনকে হারিয়ে উঠে গেছেন ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে। ১৭টি একক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সেরেনা ম্যাচটি জিতেন মাত্র ৭১ মিনিটে।
এনিয়ে পেশাদার টেনিসে ৩০তম বারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই বোন। আর এই লড়াইয়ে এগিয়ে সেরেনাই। ১৮ বার জিতেছেন তিনি। ভেনাস জিতেছেন ১২বার।
যদিও শুক্রবার ফ্ল্যাশিং মিডোতে শুরুতেই হোচট খেয়েছিলেন সেরেনা। পায়ের চোটে প্রথম সেটের সময়ই কোর্টের বাইরে চলে যান। কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেই খুঁজে নেন চেনা ছন্দ। দুই বছরের বড় বোনটিকে পাত্তাই দিলেন না তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে মা হয়েছেন। এরপর কোর্টে ফিরে এটাই নাকি তার সেরা ম্যাচ। এমনটাই দাবী যুক্তরাস্ট্রের মহা তারকা সেরেনার, ‘বলতে আপত্তি নেই মা হয়ে ফিরে আসার পর এটিই ছিল আমার সেরা ম্যাচ।’
আর ছোট বোনের প্রশংসাতেই মুখর ছিলেন ভেনাস, ‘সেরেনা সবকিছুই নিখুঁতভাবে শেষ করেছে। দুর্দান্ত খেলেছে ও। আমি খুব একটা ভুল করেছি বলে মনে হয়না। তারপরও ওর দাপটের সঙ্গে পেরে উঠিনি। ওর মুখোমুখি হওয়াটা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়।’
সেরেনা এবার চতুর্থ রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন এস্তোনিয়ার কাইয়া কানেপির। যিনি প্রথম রাউন্ডেই সিমোনা হালেপকে হারিয়ে বড় চমক দেখিয়েছিলেন। সন্দেহ নেই কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে সেরেনার জন্য।
এদিকে ইউএস ওপেনের পুরুষ এককে ৪ ঘণ্টা ২৩ মিনিট স্থায়ী ম্যারাথন লড়াই রাফায়েল নাদাল হারান রাশিয়ার কারেন কাচানভেরকে। স্পেনের সেরা তারকা জিতেন ৫-৭, ৭-৫, ৭-৬, ৭-৬ গেমে। রীতিমতো হারের মুখ থেকে বেরিয়ে জয় দেখেছেন নাদাল।