স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু শেষটা ভাল হলো না দেশসেরা গলফারের। শনিবার শেষ রাউন্ডে এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু! বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেনে চতুর্থ থেকে দিন শুরু করলেও ১২তম স্থানে থেকে লড়াই শেষ করলেন! আগের তিন রাউন্ডে মাত্র একটি বোগি করা সিদ্দিকুর শেষ রাউন্ডে দুটি বার্ডির সঙ্গে বোগি করেন পাঁচটি!
পারের চেয়ে আট শট কম খেলে যৌথভাবে দ্বাদশ হলেন সিদ্দিকুর। এশিয়ান ট্যুরের এই প্রতিযোগিতার আগের মতোই ট্রফি উঠলো কোন বিদেশি গলফারের হাতে। সাড়ে তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসরে এবার বাজিমাত সাদোম কায়েওকানজানার। থাইল্যান্ডের এই গলফার জিতলেন বঙ্গবন্ধু ওপেনের শিরোপা। সব মিলিয়ে পাঁচ আসরেই সেরা হলেন বিদেশিরা।
আরো একবার ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় গলফাররা। হতাশ সিদ্দিকুর শনিবার দিন শেষে বলছিলেন, ‘আমি হতাশ। নিজেকে দুর্ভাগাই বলব আমি। দিনের শুরুটা ভালো ছিল। কিন্তু এরপরই ভাগ্য সহায় হলো না। অবশ্য এটাই শেষ নয়। ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতায় খেলব।’
এখানেই শেষ নয়, সিদ্দিকুর দুঃখ প্রকাশও করলেন। হতাশ এই গলফার বলেন, ‘আমি দুঃখিত। আপনাদের আশা পূরণ করতে পারিনি। মানসিকভাবে কোনো দূর্বলতা ছিলো না। সেরাটা দিয়েছি। কিন্তু হয়নি।’ সামনে প্রতিযোগিতায় আরো বেশি প্রস্তুত হয়েই লড়তে চান এই গলফার।
তবে শেষদিনে লড়েছেন জামাল হোসেন। আগের দিন ২৪তম স্থানে থাকলেও শনিবার শেষ রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি করে তিনি হয়েছেন যৌথভাবে দশম। আগের রাউন্ডে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে থাকা আকবর হোসেন শেষ অব্দি যৌথভাবে ১৫তম হয়েছেন। মোহাম্মদ নাজিম যৌথভাবে ২৫তম। বাদল হোসেন যৌথভাবে ৩১তম ও মুহাম্মদ মুয়াজ হয়েছেন যৌথভাবে ৩৫তম।
শনিবার কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে প্রতিযোগিতার শেষ রাউন্ডে পারের চেয়ে ১৯ শট কম খেলে সেরা হয়েছেন সাদোম কায়েওকানজানা। পারের চেয়ে ১৮ শট কম নিয়ে ভারতের অজিতেশ সান্ধু দ্বিতীয় হয়েছেন। শেষ রাউন্ডে থাইল্যান্ডের গলফারের সঙ্গে তার লড়াইটা বেশ জমে উঠেছিল। আর পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেল তৃতীয হলেন রশিদ খান।