গলফার ইডি ভান্স হাতে ধরা গলফ স্টিক পরীক্ষা করছিলেন। পরের শটস খেলার কৌশল কি হতে পারে তা নিয়ে খানিকটা চিন্তায় ছিলেন। হঠাৎ পেছনে খসখস একটা শব্দ শুনলেন। প্রথমে ও কিছু না ভাবলেও খানিক বাদে শব্দটা আরেকটু বাড়তেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই তার চোখ ছানাবড়া!
বিশালাকৃতির কুমির। হেলে-দুলে যাচ্ছে গ্রিন কোর্সের দিকে। লম্বায় ৯ ফুটের মতো কুমির প্রজাতির এই অ্যালিগেটর দেখে গলফ স্টিক হাত থেকে সরিয়ে নিজের মোবাইল ফোন বের করে গলফার ভান্স। বাকি আড়াই মিনিট গলফ কোর্সের সবুজ গালিচায় কুমির মহাশয়ের আয়েশি ভঙ্গিতে বুক লাগিয়ে হেঁটে চলার দৃশ্য ভিডিও করেন তিনি। তার সেই ভিডিও মিনিট কয়েকের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
সেই ভিডিওর ক্যাপশন দেন ভান্স, 'সেভেন্টিন হোলে এটাই ঘটেছিল'।
ভান্স জানান, ‘আসলে ভিডিওতে আমরা শুধু দৃশ্যটা দেখেছি, কিন্তু শব্দটা তেমন শুনতে পাইনি। ধাপ, ধাপ শব্দ করে এই বিশালদেহী সামনে বাড়ছিল। যেন মনে হচ্ছিল কোন ডায়নোসারের হাঁটার শব্দ শুনছি! আমি প্রথমে শব্দটা শুনে মনে করেছিলাম আশপাশে কোনকিছু নির্মাণ বা কাটাকুটির কাজ চলছে।'
আমেরিকার জর্জিয়ার সাভানাহ হারবারের গলফ ক্লাবের সেভেন্টিন হোলের সবুজ চত্বরে হঠাৎ করে এই কুমিরের দুলকি চালে হেঁটে বেড়ানোর শখ চাপে! সেভেন্টিন হোলের কাছে পৌঁছে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডের সামনে খানিকটা বিশ্রামের জন্য থামে কুমিরটি। শুয়ে পড়ার ভঙ্গিতে শরীর মেলে ধরে। পুরোদুস্তর রোদ পোহানোর আমেজ আর কি। আশপাশের গলফাররা সবাই তখন নিরাপদ দূরত্বে চলে যান।
দৈত্যাকৃতির এই কুমির প্রজাতির অ্যালিগেটর সবুজ চত্বরে গায়ে খানিকটা রোদ লাগিয়ে রাজকীয় ভঙ্গিতে কাউকে পাত্তা না দেয়ার মেজাজ দেখিয়ে পাশের হ্রদে নেমে যায়।
হারবারের গলফ ক্লাবে রোববার খেলা নিয়ে আর কোন আলোচনা হয়নি, শিরোনাম একটাই, গলফ কোর্সে কুমিরের আগমন!