এবারের ব্যালন ডি’অর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই পেতে যাচ্ছেন– এই গতকাল বিকেলেও এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা হতেই পাশার দান উলটে যায় ১৮০ ডিগ্রি, ভিনি নয়, শেষমেশ ব্যালন ওঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার রদ্রি এর্নান্দেজের হাতে।
অর্জনের ক্ষেত্রে দুজনেরই দলীয় অর্জন আছে অনেকগুলো। গেল মৌসুমে রদ্রি স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো, ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ আর উয়েফা সুপার কাপ। ব্যক্তিগত শিরোপা যদি ধরা হয়, তাহলে তার ঝুলিতে ছিল ইউরো ২০২৪ এর গোল্ডেন বল।
ওদিকে ভিনিসিয়ুসের সাফল্যও কি কম ছিল? রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা জিতেছেন, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন। ব্রাজিলকে কিছু জেতাতে পারেননি, পারফর্মও করতে পারেননি তেমন। তবে তার প্রাণের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তো ঠিকই পারফর্ম করেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা খেলোয়াড় বনে গেছেন তিনি। সঙ্গে তার একগাদা গোল অ্যাসিস্ট মনে করাচ্ছিল, তার হাতেই উঠছে ব্যালন ডি’অর।
তবে শেষমেশ তা তার ভাগ্যে জোটেনি। তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ তার আগেই জেনে গিয়েছিল বিষয়টা। তাই তাদের প্যারিস যাত্রা স্থগিত করে দেয়া হয় আগেভাগেই। সঙ্গে প্রশ্ন তোলে ব্যালন ডি’অরের প্রক্রিয়া নিয়েও।
রিয়াল মাদ্রিদ এ নিয়ে উচ্চকিত হলেও ভিনিসিয়ুস নিজে অবশ্য ছিলেন চুপ। পুরস্কার দেওয়ার পর তিনি তার ব্যক্তিগত এক্স হ্যান্ডলে ক্ষোভ ঝাড়তে ভোলেননি। সেখানে যা লিখেছেন, তা ইউরোপের জন্য রীতিমতো প্রচ্ছন্ন এক হুমকিই! তিনি লিখেছেন, ‘এটা জিততে হলে দেখা যাচ্ছে আমাকে ১০ গুণ ভালো করতে হবে! তারা এমন কিছু দেখতে তো প্রস্তুতও নয়!’
গেল মৌসুমে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৩৯ ম্যাচে ২৪ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরও ১১টি গোল। সব মিলিয়ে তার গোলে সরাসরি অবদান ৩৫টিতে। রিয়াল মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন মেজর ডাবল। তবে ব্যালন ডি’অর না পেয়ে একেও যথেষ্ট মনে হচ্ছে না ভিনির। চাইছেন দশ গুণ ভালো করতে।
তার দশ গুণ ভালো করা মানে কিন্তু প্রতিপক্ষের জন্য দুঃসংবাদ। ব্যালন ডি’অর না পাওয়ার ‘বদলা’ যদি ভিনিসিয়ুস সত্যিই নিতে পারেন, তাহলে তার সত্যিকারের ‘চরম মূল্য’টা ইউরোপীয় দলগুলো ছাড়া আর কে দেবে বলুন?