পাঞ্জাবের বিদায়, সহজ জয়ে টিকে থাকল বেঙ্গালুরু 

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-05-10 09:50:12

শুরুর আট ম্যাচের সাতটিতেই হেরে প্লে-অফের লড়াই থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে একের পর এক জয় তুলে শেষ চারে ক্ষীণ আশা ধরে রইল তারা। সবশেষ তিন ম্যাচে শক্তিশালী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং হোম-অ্যাওয়ে দুইয়েই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে দাপুটে জয় পায় কোহলি-ডু প্লেসি। এবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নামার আগে সমীকরণটা ছিল এমন, জিতলে বেঁচে থাকবে প্লে-অফের সেই ক্ষীণ আশা এবং হারলেই বিদায়। পাঞ্জাবের জন্যও সমীকরণ ছিল ঠিক এমন। গতকালে এমন সমীকরণ নিয়ে নেমে গতকালের ম্যাচে ধর্মশালায় পাঞ্জাবকে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বেঙ্গালুরু। 

এতেই ১২ ম্যাচের ৮টিতেই হেরে আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিদায় নিল পাঞ্জাব। এদিকে সবশেষ চার ম্যাচের চারটিতেই জয়ের দেখা পেল বেঙ্গালুরু। ১২ ম্যাচে ৫ জয়ের তাদের পয়েন্ট ১০, আছে তালিকার সাতে। 

ধর্মশালায় গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিধান্ত নেয় পাঞ্জাব। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু। আইপিএল ইতিহাসে এটি তাদের চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। 

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন প্রাভসিমরান সিং। তবে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে সেই চাপ সামলে ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন রাইলি রুশো। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে স্রেফ ৩১ বলে আসে ৬৬ রান। সেখানে ১৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো। পরে নবম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১০৭ রানের মাথায় ফেরেন রুশোও। এই প্রোটিয়া হার্ডহিটার ব্যাটার করেন দলীয় সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৬১ রান। 

জয়ের পথ সেখান থেকেও ছিল বহুদূর। ৬৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। তবে ফার্গুসন আর মোহাম্মদ সিরাজের পেস তোপে শশাঙ্ক সিং ছাড়া আর বাকি কেউই দাঁড়াতে পারেনি সেভাবে। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়ে শশাঙ্ক ফেরার পর তো বাকি সবাই ছিল যাওয়া-আসার মধ্যে। এতে ১৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। সেখানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সিরাজ। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ব্যাটে চড়ে শুরুটা ভালো হলেও ৪৩ রানের মাথায় অধিনায়ক ডু প্লেসি ও উইল জ্যাকসের উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। তবে তৃতীয় উইকেটে রজত পাতিদারকে নিয়ে ৭৬ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন কোহলি। স্রেফ ২৩ বলে ৫৫ রান করে পাতিদার ফিরলেও সেঞ্চুরি দিকে এগোতে থাকেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনকে ফের গড়েন আরেক গুরুত্বপূর্ণ জুটি। 

দিকে কোহলি এগোচ্ছিল তার নবম আইপিএল সেঞ্চুরির দিকে। ব্যাট করেছিলেন ৯২ রানে, ইনিংসে বাকি তখনও ১৪ বল। তবে সেখানে আর্শদীপ সিংয়ের একটি বল মিড-অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ভাঙে তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন। ৪৭ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় তার ব্যক্তিগত স্কোরবোর্ডে থামে সেই ৯২ রানের। এতে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দিনের সর্বোচ্চ ৯০ রানের জুটি। পড়ে গ্রিনের ৪৬ এবং দীনেশ কার্তিকের ১৮ রানের ক্যামিওতে ২৪১ রানের বড় সংগ্রহে পৌঁছায় বেঙ্গালুরু। 

সেঞ্চুরিটা না পেলেও এদিন ম্যাচসেরার খেতাব জেতেন কোহলি। ১২ ম্যাচে ৭০ এর বেশি ব্যাটিং গড়ে ৬৩৪ রান করে আসরে অরেঞ্জ ক্যাপটা নিজের দখলেই রাখলেন তিনি।  এদিকে প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে পরের দুই ম্যাচে জয় চাই তার দল বেঙ্গালুরুর।   

এ সম্পর্কিত আরও খবর