শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় থেকেই দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অস্থিতিশীলতা। কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েও সুষ্ঠু কোনো সমাধানে আসতে পারেনি বোর্ড। এবার সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভার সাব কমিটি স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পেশ করেছে।
মন্ত্রিসভার সাব-কমিটি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সমস্যাগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গঠিত প্রতিবেদনটি আজ (জানুয়ারির ২ তারিখ) রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আলী সাবরি প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। মন্ত্রিপরিষদ উপ-কমিটি গঠনের পর দেড় মাসের মধ্যেই এই প্রতিবেদনটি দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।
গত বছরের ৬ নভেম্বর গৃহীত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন জনাব আলী সাবরি। মন্ত্রিসভার উপ-কমিটিতে অন্যান্য সদস্যরা হলেন; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী জনাব কাঞ্চনা উইজেসেকেরা, জননিরাপত্তা মন্ত্রী তিরন আলেস এবং শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জনাব মানুশা নানায়াক্কারা।
কমিটিটি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কমিটিটি মূলত চারটি ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১। শ্রীলংকা ক্রিকেটের গঠন ও কাঠামো এবং সংস্কারের প্রস্তাব প্রদান।
২। পুরুষ ও মহিলা, অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সের জাতীয় দলসহ বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের পরিচালনা, কোচিং ও সামগ্রিক সুস্থতার জন্য কাঠামো গঠন।
৩। যথাযথ সুশাসন এবং সর্বোত্তম অনুশীলন যা টেস্ট প্লেয়িং কন্ডিশনে কার্যকরী হবে। সিস্টেমের সঙ্গে সিস্টেম বেঞ্চমার্কিংয়ে স্বচ্ছতা, পেশাদারিত্ব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য গ্রহণ করা যেতে পারে।
৪। মেরিটোক্রেসি, সমতা এবং সমতা গ্রহণ করে স্কুল, জেলা, প্রাদেশিক এবং ক্লাব স্তরের ক্রিকেটের ফিডিং কাঠামো পুনর্গঠন করা।
প্রতিবেদনটি গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে রিপোর্টে উল্লিখিত সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের জন্য তাঁর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে এই প্রতিবেদন এবং নতুন ক্রীড়া আইনের খসড়া উভয়ই সংসদে উপস্থাপন করার ইচ্ছাও তিনি প্রকাশ করেন।