শুরুর ওভারেই দুই কিউই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম। তখন হয়তো অনেকেই স্বপ্ন বুনছিলেন, অপেক্ষার বুঝি হলো অবসান। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হলো কই! বাড়ল অপেক্ষা। ১৬ থেকে এখন কিউইদের মাঠে ১৭ ওয়ানডে ম্যাচের একটিতেও জয় পেল না বাংলাদেশ। ৪৪ রানের হারে সিরিজে পিছিয়ে থাকলো ১-০ তে।
এদিকে লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা হলো ধাক্কা দিয়েই। ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার (০)। বল হাতে ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতেও নিষ্প্রভ বাঁহাতি এই ব্যাটার। মাঝে তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেনের জুটিতে স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের ফেরার পর ম্যাচ গেল ফসকে। ৩০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানে থামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শুরুর সেই ধাক্কা সামলে রানের গতি বাড়ান ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক শান্ত। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৪৭ রানের ফেরেন কেবল ১৫ রান করে।
তবে ছন্দে থেকে এগোতে থাকেন বিজয়। তবে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন ক্লার্কসনের বলে। এক ওভারে ফেরেন লিটন দাসও (২২)।
মুশফিকুর রহিম কেবল ৪ চারে ফিরলে চাপে পুরোপুরি নিমজ্জিত হয় সফরকারীরা। স্কোরবোর্ডে তখন ৫ উইকেটে ১০৩ রান। ম্যাচ অনেকটা ফসকে যায় সেখানেই। মাঝে হৃদয় (৩৩) ও আফিফ (৩৮) কিছুটা আশা জাগায়। তবে তাদের ফেরার পর কেবল ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশ। সোধি, ক্লার্কসন ও মিলনে নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে পরক্ষণেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি।
ঘণ্টা পেরিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। সেখানে শরিফুলের পেস তোপে পেস তোপে শুরুতেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। যদিও ইনিংসের প্রথম বলটি চার মেরে শুরু করেছিল কিউইরা। তবে জবাব দিতে খুব একটা সময় নেননি শরিফুল। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ফেরান বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে (০)। হালকা এক ইন সুইং বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তবে আরেক প্রান্তে থামানো যায়নি ওপেনার ইয়াংকে। টিকে ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। রান আউটে কাটা পড়ার আগে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৮৪ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় করেছেন ১০৫ রান।
দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, একটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষের তিন ব্যাটারই হয়েছেন রান আউট।
আগামী ২০ ডিসেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। নেলসনে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।