'অনবদ্য', তানজিম সাকিবের অভিষেক স্পেলটাকে বর্ণনা করতে এই একটা বিশেষণই যথেষ্ট। প্রথম দুই ওভারে সাত রান দিয়ে দুই ভারতীয় টপ অর্ডারকে সাজঘরে ফেরানো। এরচেয়ে সুন্দর স্পেল আর কীভাবে সম্ভব? তাও আবার আগের তিন ম্যাচেই ফিফটি করা রোহিত শর্মাকে শূন্য রানে ফেরানো।
মূল কাজটা বল হাতে; তবে ব্যাট হাতেও সামর্থ্যের জানান দিয়েই শুরু। এক চার আর এক ছয়ে মাত্র আট বলে ১৪ রানের ক্যামিও। যেখানে স্ট্রাইক রেট ১৭৫; ব্যাট করেছিলেন দশ নাম্বারে৷ ব্যাট হাতে সবার পরে আসলেও বল হাতে দলের উদ্বোধনী বোলার৷ প্রথম বলটায় ওয়াইড দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ডেলিভারি। এরপরের বলটা রোহিতকে আটকাতে বাধ্য করলেন। এরপরে আবার ওয়াইড, আউট সাইড অফে শর্ট বল।
পরের বলে ফাঁদে ফেলেই রোহিতকে কাভার পয়েন্টে এনামুল হক বিজয়ের তালুবন্দী করেছেন। রোহিতকে শট খেলতে বাধ্য করেছেন সাথে উইকেট দিতেও। প্রথম ওভারে পরের চার বল আরেক অভিষিক্ত তিলক ভার্মা ডট দিয়েছেন। তবে একটা ওয়াইডে প্রথম ওভার শেষ করেছেন মাত্র তিন রানে৷ যার তিনটাই অতিরিক্ত রান। অর্থাৎ ভারতের ব্যাটাররা প্রথম ওভারে এই অভিষিক্ত পেসারের বল থেকে একটা রানও নিতে পারেননি।
তিলককে পরের ওভারের প্রথম বলে ডট দিয়েই ওভার শুরু৷ পরের বলে অবশ্য তিলক বাউন্ডারির দেখা পান। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিলকের হাঁকানো প্রথম বাউন্ডারি, আবার সাকিবের হজম করা প্রথম। এরপরের বলটায় আবারো ডট। সাকিব অপেক্ষায় ছিলেন ম্যাক্সিমাম রেজাল্টের। সাকিবের করা তৃতীয় বলটা তিলক ছেড়েই দিতে চেয়েছেন। কিন্তু বল ঢুকে গেলো স্টাম্পে। ফলাফল আবারো সাকিবের পক্ষে৷ দশ বলের ব্যাবধানে ইন্ডিয়ান ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামানোর মূল কাজটাই করে ফেললেন।
প্রথম দুই ওভার শেষে মাত্র সাত রান দিয়ে দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সেই সাথে ১১ ডট৷ এ যেনো স্বপ্নের মতো অভিষেক, স্বপ্ন পূরণের মতো স্পেল।