নিয়মরক্ষার ম্যাচে আরও একবার 'নিয়ম' করে ধসে পড়ল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। এরপর তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক সাকিবের প্রতিরোধ। তাতে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয়া গেলেও ঠিক বড় সংগ্রহের ভিত রচিত হলো না। তবে ইনিংসের শেষভাগে নাসুম-শেখ মেহেদীর ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের রসদ পেয়ে গেলেন বোলাররা।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের আজ উল্টো চেহারা দেখা গেল! টপ অর্ডারের ব্যাটাররা খেললেন লেজের সারির আনাড়ি ব্যাটারদের মতো। অন্যদিকে লেজের সারির ব্যাটাররা, যাদের কেউ কেউ আবার নিয়মিত দলে খেলারও সুযোগ পান না, তারাই ব্যাটিংয়ে আজ বাংলাদেশের বড় নির্ভরতা হয়ে উঠলেন।
আট নম্বরে নেমে নাসুম আহমেদ খেললেন ৪৫ বলে ৪৪ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। আরেক স্পিনার শেখ মেহেদীও তার ব্যাটিং প্রতিভার পুরোটা নিংড়ে দিলেন ২৩ বলে ২৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে। শেষ ১০ ওভারে তাদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ের ভারতের সামনে একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হলো বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রানের মধ্যেই প্রথম পাঁচ ব্যাটারের চারজনকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। হৃদয়কে নিয়ে তখন দলের হাল ধরেন সাকিব। পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ১০১ রান। আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ব্যাট চালিয়ে ৮০ রানের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাকে সঙ্গ দেয়া তাওহিদ হৃদয়ও তুলে নেন ফিফটি। তবে দলীয় রান দুই শ পেরোনোর তারা সাজঘরের পথ ধরায় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে নাসুম-শেখ মেহেদীদের লড়াকু ব্যাটিংয়ে সে বিপদ ঘুচিয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।