হৃদয়ের কাছে প্রতিটি ইনিংসই সমান গুরুত্বপূর্ণ

ক্রিকেট, খেলা

বার্তা২৪ স্পোর্টস | 2023-09-14 14:27:05

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাওহিদ হৃদয়ের শুরুটা হয়েছে বেশ ভালো। পরিসংখ্যান, ইম্প্যাক্ট, ম্যাচ জেতানো পারফর্ম্যান্স সব মিলিয়ে হৃদয় যেন উড়ছিলেনই রীতিমতো। তবে সেই উড়তে থাকা হৃদয়কে বাস্তবতার তেঁতো স্বাদ পেয়েছেন এশিয়া কাপে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এক অঙ্কে বিদায় নেওয়া, রান না পাওয়া ভুগিয়েছে তাকে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২০, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচে ০ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে মাত্র ২ রান। সব মিলিয়ে তিন ইনিংসে মাত্র ২২ রান। অথচ হৃদয় এশিয়া কাপ শুরু করেছিলেন এর দ্বিগুণের বেশি রানের গড় নিয়ে। তাতেই মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপের ঠিক আগে বুঝি অফফর্ম পেয়ে বসল তাকে!

তবে সে শঙ্কাটা বেশিক্ষণ টিকতে দেননি বগুড়ার এই ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেললেন ৯৭ বলে ৮২ রানের লড়াকু ইনিংস।
তিন ইনিংসে রান পাননি তিনি। তবে সেটা হৃদয়ের আত্মবিশ্বাসকে টলাতে পারেনি। সেটা তার কথাতেই স্পষ্ট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

সেখানে তিনি বলেন, ‘আপস অ্যান্ড ডাউনস যেটা বলছেন বা সবাই যেটা বলছে প্রত্যেকটা প্লেয়ার প্রত্যেকটা ম্যাচে ভালো খেলে না এটাই স্বাভাবিক। আর একটা দুইটা তিনটা ম্যাচ রান করি নি দেখেই যে আমি অফ ফর্মে চলে গেলাম, জিনিসটা এমনও না। আমার মনে হয় এখানে একটু বোঝার ভুল আছে। কিন্তু আমার টিম থেকে এবং কোচদের থেকে শুরু করে প্লেয়ারদের ভেতর থেকে কারও এই রকম হয়নি যে এই রকম অবস্থায় আছি। আমি মনে করি এখানে না, প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ- বড় আসর হোক, ছোট আসর হোক প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকটা প্লেয়ারের জন্য। হতে পারে এশিয়া কাপ বা হয়তো বিশ্বকাপ না আমি মনে করি প্রত্যেকটা ম্যাচই প্রত্যেকটা প্লেয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় ট্রাই করি যে, অ্যাজ অ্যা প্লেয়ার আমার টিমকে কন্ট্রিবিউট করার।’

তবে এশিয়া কাপ কিংবা অন্যান্য ছোট দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজ, এসবকে এভাবে আলাদা করতে রাজি নন তাওহিদ। তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ পাচ্ছে প্রতিটা বল, প্রতিটা ম্যাচ, প্রতিটা সিরিজ। কোনো ইনিংসকেও ছোট করে দেখতে নারাজ তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘হয়তো বা এখানে একটু আরও ভালো অপনেন্ট মোকাবেলা করলাম। আমার কাছে যেটা মনে হয়, অনেক এক্সপেরিয়েন্স বোলার ফেস করেছি। বোলিংটা দেখেছি। অনেক সময় পরিবেশ আলাদা থাকে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অ্যাজ এ প্লেয়ার হিসেবে আমি যেটা ফিল করি প্রত্যেকটা দিন, প্রত্যেকটা ম্যাচ, প্রত্যেকটা বল আমার কাছে একই মনে হয়। কোথায় বড় টুর্নামেন্ট বা কোথায় ছোট টিম বা অপনেন্টে কে আছে আমি আসলে এইসব দেখি না। আমি সব সময় ট্রাই করি যেন বলটা দেখি, বলটা দেখে খেলার ট্রাই করি। যে কোনো পরিবেশ এটা ওয়ার্ল্ড কাপও হতে পারে, এশিয়া কাপও হতে পারে, একটা ছোট টিমের সঙ্গে সিরিজ। আমি আসলে এইভাবে রেডি থাকি আসলে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাই লড়েছেন কিন্তু দলের পক্ষে ফলাফল আসেনি। যেটা স্বাভাবিকভাবেই হতাশ করেছে এই তরুণকে। যার কারণে নিজের এমন দুর্দান্ত ইনিংসকেও বাড়তি গুরুত্ব দিতে পারছেন না। আছে ইনিংস শেষ করে আসতে না পারার আক্ষেপও।

তার ভাষ্য, ‘অবশ্যই হতাশার। আমার ৮২ রান আমার কাছে মনে হয় কোনো কাজের না। যদি টিমটা জিততো সেক্ষেত্রে তখন নিজের ক্ষেত্রে একটা স্যাটিসফেকশন কাজ করত। তো আশা করি যে, নেক্সট টাইম এই রকম কোনো অপরচুনিটি আসে ট্রাই করবো যেনো এখন থেকে ম্যাচটা শেষ করে আসা যায়।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর