টেস্টে ক্রিকেটে মার্নাস লাবুশেইনের উত্থানটা হয়েছিলো স্টিভেন স্মিথের কনকাশন সাব হিসেবেই৷ লর্ডসে স্মিথের মাথায় আঘাত পাওয়ায় তার পরিবর্তে নেমে অর্ধশতক করেছিলেন। এরপরের গল্পটা কমবেশি সবারই জানা৷ আবারো কারো মাথায় বল লাগা, আবারো কনকাশন সাব, আবারো লাবুশেইন, আবারো অর্ধশতক শতক কিংবা একাই ম্যাচ জেতানো। সাথে চলে আসবে স্মিথের নামও।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই লাবুশেইন। ছিলেন না সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও৷ তবে স্মিথের ইনজুরিতে সুযোগ আসে মার্নাসের। তবে একাদশে সুযোগ পাননি। প্রথম ইনিংসেও জানতেন না মাঠে নামতে হবে। ইনিংসে ৬ষ্ঠ ওভারে কাগিসো রাবাদার বল মাথায় লাগায় মাঠ ছাড়তে হয় ক্যামেরুন গ্রিনকে। এরপর আর মাঠেই নামা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। তার পরিবর্তে ব্যাট করতে নামেন মার্নাস লাবুশেইন। তাও আবার আট নাম্বারে।
৭২ রানে পাঁচ উইকেট, ৯৩ তে ছয় আর ১১৩ তে সাত নাম্বার উইকেট যাওয়ার পর অ্যাস্টন অ্যাগারকে সাথে নিয়ে অপরাজিত ১১৩ রানের জুটি। লাবুশেইনের ব্যাট থেকে ৯৩ বলে ৮০*। ২২৩ রানের মাঝারি টার্গেটে যেটা দলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
তবে শুরুর একাদশে নাম না থাকলেও লাবুশেইনের মায়ের বিশ্বাস ছিলো ছেলে এই ম্যাচে খেলবেন। যদিও প্রথমে মায়ের কথাকে পাত্তা দেননি তবে ম্যাচশেষে নিজেই জানিয়েছেন অবাক হওয়ার ঘটনা।
"আমার মা দুর্দান্ত একজন নারী। পুরো ম্যাচেই মা মাঠে ছিলেন। যদিও আমি ম্যাচের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা খেলিইনি। কিন্তু তার মনে হচ্ছিলো আমি খেলবো। এই ভাবনায় তিনি অনড় ছিলেন যে আমি এই ম্যাচ খেলবোই। আমি তাকে বলেছিলাম - মা আমি একাদশ দেখেছি, সেখানে আমার নাম নেই। তখনো তার মনে হচ্ছিল আমি এই ম্যাচ খেলবো। এখন দেখলাম তিনিই ঠিক। সত্যি বলতে এটা ব্যাখ্যা করা অনেক কঠিন।"
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়ার পরও বিশ্বকাপে ভারতের বিমানে উঠা হচ্ছে না এই ব্যাটারের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই তার নাম।