ঘানার বিপক্ষে জয় তো দরকার ছিলই, পর্তুগালের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার পয়েন্ট হারের প্রার্থনাও করতে হয়েছে উরুগুয়েকে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া জিতলে নিজেদেরও জিততে হত বড় ব্যবধানে।
পুরো ম্যাচজুড়ে তাই বেশি গোল করে এগিয়ে থাকার চাপ ছিল লুইস সুয়ারেজদের ওপর। সেই চাপ সামলে ৩২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল উরুগুয়ে। ওদিকে পর্তুগাল-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ সমতায় থাকায় কিছুটা স্বস্তিও ছিল।
কিন্তু ৯১ মিনিটের মাথায় দক্ষিণ কোরিয়া ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যেতেই হতাশা নেমে আসে উরুগুয়ে ডাগআউটে। গোল ব্যবধানে যে এগিয়ে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। তখনও ম্যাচে বাকি ছিল ৬ মিনিট, পরে যোগ করা সময় হয়ে আসে আরও ৮ মিনিট। তবে শেষের এই ১৪ মিনিট চেষ্টা করেও আর আরেকটি গোল করতে পারেনি উরুগুয়ে।
ঘানার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতেও তাই গোল ব্যবধানে পিছিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে উরুগুয়ে। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় উঠেছে পর্তুগাল ও দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচে তখন ৮৫ মিনিট। হঠাৎ করেই বিহ্বল দেখাল উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের। লুইস সুয়ারেস, দারউইন নুনেসদের চোখ ভরে এলো জলে। হতাশা, উৎকণ্ঠা বোঝা গেল স্পষ্ট। অন্য ম্যাচে যে পর্তুগালের বিপক্ষে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়া্! বেঞ্চ থেকে সুয়ারেস যেন সতীর্থদের বলতে চাইলেন, যেভাবেই হোক আরেকটি গোল দাও। সেই গোল আর এলো না, তাই বিদায়ও এড়াতে পারল না উরুগুয়ে।