আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি বলেছিলেন, ম্যাচে পেনাল্টি হলে তিনি লিওনেল মেসির শট ঠেকিয়ে দিতে প্রস্তুত। ম্যাচে পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসিও নিয়েছেন শট, কিন্তু গোল হয়নি। ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি মেসির পেনাল্টি।
কেবল মেসির ওই পেনাল্টিই রুখে দেননি সেজনি। তিনি একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়েছেন আর্জেন্টিনার। মেসির একাধিক শট আটকেছেন বিপুল দক্ষতায়।
যদি শেষ রক্ষা হয়নি পোল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত সেজনিকে পরাস্ত হতে হয়েছে। ২-০ গোলে ম্যাচ জিতেছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল দুটি করেছেন ম্যাক অ্যালিস্টার ও জুলিয়ান আলভারেজ।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে দারুণ এক থ্রু বল নিয়ে পোলিশ রক্ষণে ঢুকে পড়েছিলেন আলভারেজ। তবে সেজনিকে পরাস্ত করতে পারেননি। সেই আক্রমণে সেজনির ফাউলের শিকার হন মেসি। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। তবে আগের ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিতে মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন তিনি।
এ ম্যাচেই কেবল নয়, এর আগে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষেও পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন পেশাদার ফুটবলে জুভেন্টাসে খেলা সেজনি।
এক বিশ্বকাপে দুই-দুইটা পেনাল্টি শট আটকে দিয়ে পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি রেকর্ডবুকে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এরআগে আরও দুইজন গোলরক্ষক বিশ্বকাপের এক আসরে দুইটি পেনাল্টি ঠেকানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সেজনি এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় তৃতীয় গোলরক্ষক।
এক আসরে দুইবার পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেওয়ার প্রথম কৃতিত্ব ছিল সেজনিরই স্বদেশী গোলরক্ষক জান টমাসজেউস্কির। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে এই গোলরক্ষক সুইডেনের স্টেফান টাফার ও পশ্চিম জার্মানির উরিচ হোনেনির পেনাল্টি ঠেকান। পোল্যান্ড ওই বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল।
এর পরের রেকর্ডটি ২০০২ বিশ্বকাপের। যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ব্রাড ফ্রাইডেল দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার লি উল ইয়ংয়ের, এবং একই বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন।
ডি-গ্রুপের তৃতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার কাছে পোল্যান্ড ২-০ গোলে হারলেও জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোতে। নকআউট পর্বে পোল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।