রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। তার আগে দুদল দিলো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের মহড়া। তাতে শেষ হাসি হাসল লঙ্কানরাই। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতে আনন্দে ভাসছে তারা। দুরন্ত জয়টা আসলো ১৮ বল হাতে রেখেই।
১২১ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখান পাথুম নিসানকা। আদায় করে নেন দারুণ এক ফিফটি। ৪৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় হাঁকান ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
ভানুকা রাজাপাকসে ২৪ ও দাসুন শানাকা ২১ রান এনে দেন। শ্রীলঙ্কা ১৮ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য টপকে ১২৪ রান তুলে ফেলে।
মোহাম্মদ হাসনাইন শিকার করেন ২ উইকেট। তার সমান দুই উইকেট পান হারিস রউফ। একটি উইকেট নেন উসমান কাদির।
তার আগে দুরন্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে পুরো ২০ ওভারও খেলতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। বড় করতে দেয়নি সংগ্রহটাও। ১৯.১ ওভারে বাবর আজমদের গুটিয়ে দেয় তারা ১২১ রানে।
তবে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল ভালোই। কিন্তু ২৮ রান তুলতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লঙ্কানরা। ব্যক্তিগত ১৪ রান নিয়েই ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলের বিপদ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন বাবর আজম। তবে তিনিও বেশি দূর আগাতে পারেননি। দলীয় সংগ্রহ তখন ৬৪। ২৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৩০ রানের ইনিংস খেলেই তিনি ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। এটাই পাকিস্তানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।
বাবরের বিদায়ের মধ্য দিয়েই মড়ক লেকে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপে। ব্যাট হাতে সেভাবে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ২৬ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। সমান ১৩ রান করে এনে দেন ফখর জামান ও ইফতিখার আহমেদ। বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে সামিল। শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা একাই শিকার করেন ৩ উইকেট। তবে খরচ করেন ২১ রান। দুটি করে উইকেট নেন মহেশ ঠিকশানা ও প্রমোদ মাদুশান। একটি উইকেট যায় চামিকা করুনারত্নের পকেটে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য কথা বলেছে শ্রীলঙ্কার হয়ে। টস জিতেই দাসুন শানাকা বেছে নেন বোলিং।