লড়াইয়ের শুরুতে ফিফটি হাঁকালেন বিরাট কোহলি। মাঝে অর্ধ-শতক ছিনিয়ে নিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেঞ্চুরি পাননি কেউ। দুজনেই ফিরেছেন সাজঘরে। কোহলির চেয়ে ১১ রান বেশি তুলেছেন রিজওয়ান। লড়াইয়ের সমাপ্তিতে শেষ হাসিটা হাসলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানই। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের হারের শোধ তুললো পাকিস্তান। দুরন্ত জয়টা পেল তারা এক বল হাতে রেখেই।
ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখিয়ে ৫১ বলে রিজওয়ান খেলেন ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস। নিজের চমৎকার ইনিংসটি সাজান তিনি ছয় বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায়। তবে ফিফটি মিস করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলের ঝড়ো ইনিংস। ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪২ রান যোগ করেন নওয়াজ। তাতেই ১৯.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ১৮২ রানের স্কোর ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তান।
ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবি বিষ্ণোই, আরশদীপ সিং ও ভুবনেশ্বর কুমার।
তার আগে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রতিপক্ষ ভারত গড়ে ১৮১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ভারতের পুঁজিটা হতে পারত আরও বড়। প্রথম তিন ওভারেই তুলে ফেলেছিল ৩৪ রান। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ে সেটা হয়নি।
দলীয় ৫৪ রানে ভাঙে ভারতের ওপেনিং জুটি। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা বিদায় নেন ২৮ রান করে। তাকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন হারিস রউফ। দলীয় স্কোরে ৮ রন যোগ হতেই নাই হয়ে যায় অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুলের উইকেট। তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন শাদাব খান। রাহুলের সংগ্রহও ছিল রোহিতের সমান ২৮। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিরলেও বিপদ সামাল দেন বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে লড়াই করে পান চমৎকার এক অর্ধ-শতকের দেখা।
সাবেক এ ভারতীয় ক্যাপ্টেন ৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় খেলেন ৬০ রানের চমৎকার ইনিংস। তবে তাকে সেভাবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। রিশব পান্ত ১৪ আর সূর্যকুমার যাদব এনে দেন যথাক্রমে ১৪ ও ১৩ রান। শেষে দীপক হুডার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন শাদাব খান। এ জন্য চার ওভারে তিনি খরচ করেন ৩১ রান। দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ, হারিস রউফ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।