বাংলাদেশের টার্নিং ও মন্থর উইকেটে সাফল্য পাচ্ছেন পাকিস্তানের পেসাররা। কিন্তু দেশের পেসাররা খাচ্ছেন খাবি। উইকেটই ধরা পড়ছে না তাদের ছড়ানো পেস জালে। এর বড় কারণ স্নায়ুচাপ সামাল দিতে না পারা।
অতিথি দলের পেসারদের সঙ্গে উইকেট শিকারের শীতল যুদ্ধে মেতে কোনো কিছুই করা হয়ে উঠছে না এবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদদের। ভালো বোলিং করার বাড়তি চাপই তাদের মানসিকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনদেশি পেসারদের সঙ্গে পারফরম্যান্স বিচারে বাংলাদেশের পেসারদের দশের মধ্যে ৫-৬ পয়েন্ট দিলেন তিনি।
ফিল্ডিং কোচ বাবুল বলেন, ‘একেক দেশ একেক রকম। আমাদের স্পিনাররা পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। অন্য দেশের সাথে আমাদের পেসারদের তুলনা করলে দশের মধ্যে ৫-৬ দিব। পাকিস্তানের পেস বোলাররা ডমিনেট করছে, আমাদের উইকেট নিচ্ছে। তাদের সাথে আমাদের পেসাররা তুলনা করলে, উইকেট নিতে না পারার কথা ভাবলে হয়তো মানসিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। উইকেট নেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করতে গিয়ে তাদের জায়গাগুলো নড়ে যাচ্ছে। এটা একটা কারণ হতে পারে।’
বৃষ্টিভেজা মাঠে ভালো পারফরম্যান্স করতে না পারার আক্ষেপও ঝরল বাবুলের কণ্ঠে, ‘ওভাবে মূল্যায়ন করলে ভালো না আসলে। প্রথম বলে (দ্বিতীয় দিনে) চার হয়েছে। পয়েন্ট পেছনে ছিল, অফ স্টাম্পেই বেশি ফিল্ডার ছিল। ভালো বোলিং করা হয়নি আর কী। আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে ছিল। ওই অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি, এটাই বাস্তবতা।’
তবে নিউজিল্যান্ড সফরে পেসারদের সাফল্যের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী বাবুল, ‘নিউজিল্যান্ডে পেসবান্ধব উইকেট থাকে। বাংলাদেশের সেরা পেস ইউনিটই যাচ্ছে। যারা পারফর্ম করছে বা জোরে বল করছে। তাসকিন যাচ্ছে, এবাদত দিনদিন উন্নতি করছে। শহিদুল আছে শরিফুল আছে। খালেদ তো এই ম্যাচেও খেলছে। আশা করছি ছেলেরা ওখানে ভালো বোলিংই করবে। রেকর্ড যদিও অন্য কিছু বলে, তবে আমি আশা করি ভালো হবে।’