দিনের শুরুতে যা একটু বল হাতে ঝলক দেখালেন তাইজুল ইসলাম। তারকা এ স্পিনার আগুনে বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন। দলের অন্য কোনও বোলার জ্বল উঠতে পারলেন।
তবে দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাবধান ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান। বাবর আজমের ফিফটিতে ধীরে সুস্থে ব্যাটিংয়ে প্রথম দিন শেষে ৫৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের পুঁজি গড়েছে অতিথিরা।
আলোর স্বল্পতার কারণে চা বিরতির পর আর কোনো খেলাই হয়নি। তার মানে তৃতীয় সেশনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তার আগে একবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।
ক্যাপ্টেন বাবর ৬০* রানের দুরন্ত এক ইনিংস খেলে এখনো ক্রিজে টিকে আছেন। তার ৯৯ বলের চমৎকার ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। ৩৬ রানে বাবরকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন আজহার আলী।
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপে প্রথম আঘাত হেনেছেন তাইজুল ইসলাম। ফিরিয়ে দিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিককে। ২৫ রান করে বোল্ড হয়েছেন এ ওপেনার।
অন্য ওপেনার আবিদ আলীর উইকেটও ছিনিয়ে নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল। আবিদ ৩৯ রান করে বোল্ড হয়েছেন।
টি-টোয়েন্টির মতো প্রথম টেস্টেও টস ভাগ্য সহায় হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ টেস্টে আর তেমনটা হলো না। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে পাকিস্তান।
এ ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। বাংলাদেশ একাদশের তিনটি পরিবর্তন এসেছে। দল থেকে বাদ পড়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি, সাইফ হাসান ও আবু জায়েদ রাহী। তাদের বদলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: আবিদ আলী, আব্দুল্লাহ শফিক, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, সাজিদ খান, নওমান আলী ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।