বল হাতে দ্বিতীয় দিন সুবিধা করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনেই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। দিনের শুরু থেকেই স্পিন বিষ ছড়াতে থাকেন তাইজুল ইসলাম। তাতে নীল হয়ে গেলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। তারকা এ স্পিনার একাই শিকার করেন ৭ উইকেট।
তাইজুলের স্পিন ভেলকিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। এতেই প্রথম ইনিংস থেকে ৪৪ রানের লিড পেয়েছে টাইগাররা।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই বল হাতে জ্বলে উঠেন তাইজুল ইসলাম। স্পিন জাদুটা ধরে রেখে তাইজুল বিদায় করে দেন সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলীকে। ২৮২ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১৩৩ রান ফিরে গেছেন এ ওপেনার। তার আগে ৫ রান করে এবাদত হোসেনের এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। পরে ১২ রান করে তাইজুলের বলে আউট হয়েছেন হাসান আলী।
তাইজুল ইসলামের পর পাকিস্তানের উইকেটে ছোবল দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বিদায় করেন তিনি বাবর আজমকে। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে পাকিস্তানের এ ক্যাপ্টেন করেন ১০ রান। পরে ৮ রান করা ফাওয়াদ আলমকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম।
তার আগে আব্দুল্লাহ শফিক ফিফটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। পাননি সেঞ্চুরির দেখা। তবে ভুল করেননি আবিদ আলী। চমৎকার এক সেঞ্চুরি ছিনিয়ে নিয়েছেন এ ওপেনার। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক।
দ্বিতীয় দিন কোনো উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের সকালেই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপে জোড়া আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। টানা দুই বলে বিদায় করে দেন আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলীকে।
১৬৬ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫২ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন শফিক। আর গোল্ডেন ডাক মেরেছেন ওয়ান ডাউনে নামা আজহার আলী। দুজনেই তাইজুলের স্পিন জাদুতে এলবিডব্লিউর শিকার হন। শেষ দিকে দলীয় স্কোরে ৩৮ রান যোগ করেন ফাহিম আশরাফ।
৪৪.৪ ওভারে ১১৬ রান দিয়ে তাইজুল ৭ উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি উইকেট পান এবাদত হোসেন।
৫৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন শেষে ৯৩ অপরাজিত ছিলেন আবিদ আলী। তাকে সঙ্গ দিয়ে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে যান আব্দুল্লাহ শফিক।
লিটন দাসের সেঞ্চুরি আর মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানের পুঁজি গড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।