ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। অবশেষে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দুরন্ত জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে ফিফটির দেখা পেয়েছেন লিটন। ১১৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬২* রান নিয়ে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন লিটন।
১১১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৫* রানে লিটনকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। ৫৯ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলে চা বিরতিতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তার আগে দলের প্রয়োজনে অধিনায়ক হিসেবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মুমিনুল হক। মাত্র ৬ রান নিয়ে সাজিদ খানের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দী হন। পরে সাজঘরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে সাজিত খানের হাতে ক্যাচবন্দী হন তিনি।
তার আগে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুর ছন্দটা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। ক্রিজ থেকে বিদায় নেন সাইফ হাসান। তাকে ফিরিয়ে দেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ১৪ রান করে আফ্রিদির বলে আবিদ আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ টাইগার ওপেনার।
সাইফের পর আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও ফিরলেন। ১৪ রান করে হাসান আলীর এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে উইকেট হারান তিনি।
পাকিস্তান সিরিজে টস ভাগ্যটা দারুণ পয়া বাংলাদেশের জন্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই টস জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই ধারাটা অব্যাহত থাকল চট্রগ্রাম টেস্টেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে টাইগাররা।
এ ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের ইয়াসির আলী রাব্বির। আর পাকিস্তান দলে অভিষেক হলো আব্দুল্লাহ শফিকের। দুজনেই পেয়েছেন টেস্ট ক্যাপ।
চলতি বছর বাংলাদেশের সব টেস্ট সিরিজের দলেই ছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। বদলি ফিল্ড আর হিসেবে ছয়টি ক্যাচও নিয়েছেন। এবার হচ্ছে তার আনুষ্ঠানিক টেস্ট অভিষেক।
বাংলাদেশ একাদশ: সাইফ হাসান, শাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নওমান আলী, হাসান আলী, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও সাজিদ খান।