দাপুটে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। তবে ফিফটি ছুঁতে পারেননি এ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৪০ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন শাদাব খান। তিন রান করে ফিরেছেন মেহেদী হাসান।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দুরন্ত ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ব্যক্তিগত স্কোরটা টেনে বড় করতে পারলেন না তরুণ এ অলরাউন্ডার। ২০ রান করে শাদাব খানের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে কাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিদায় করে দিয়েছেন হারিস রউফ। তার আগে টাইগার ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
তার আগে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে আঘাত করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ভেঙে দেন টাইগারদের ওপেনিং জুটি। তারকা এ পেনার শূন্য রানে ফিরিয়ে দেনন ওপেনার সাইফ হাসানকে। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাইফ তুলে ছিলেন মাত্র এক রান। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটাও পারলেন না।
অন্য ওপেনার নাঈম শেখও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ফেরার আগে আট বল খেলে মাত্র ২ রান করেন নাঈম। ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৮৯ রান।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। অতিথি পাকিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নেমেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে পাকিস্তানের একাদশে একটি বদল এসেছে। একাদশ থেকে ছিটকে গেছেন হাসান আলী। তার পরিবর্তে দলে জায়গা করে নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। জয়ের কাছাকাছি যাওয়া সত্ত্বেও জয় ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। টাইগারদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।
আজ মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফের মাঠে নামছে লাল-সবুজে প্রতিনিধিরা। প্রতিপক্ষ সেই পাকিস্তান। বাবর আজমদের হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফেরার মিশন আজ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো শিষ্যদের সামনে। আর অতিথিরা চাইবে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করতে।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, মাহেদী হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, হায়দার আলী, শোয়েব মালিক, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।