প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ টস জিতে পাকিস্তানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবে ছিল আগে ব্যাটিং করলে ক্রিকেটাররা ভালো রান করতে পারবে। হয়েছে ঠিক তার উল্টো। পাওয়ার-প্লে’তে ৩ উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর খেলায় ফিরতে পারেনি টাইগাররা। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১২৭ রানে। দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন কেবল আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান।
ম্যাচশেষে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘যখন আমরা টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছি তখন উইকেট বেশ ভালো মনে হয়েছিল। কিন্তু এখানে বোলারদের জন্যও সহায়ক ছিল। এটাকে অজুহাত বলছি না। ব্যাট হাতে আরও ভালো পারফরম্যান্স করা উচিত ছিল। বিশেষ করে টপ-অর্ডারের। এ জায়গায় বিশ্বকাপেও ঘাটতি ছিল। ১৪০ রান হলে সেটা ভালো হতো।’
ব্যাট হাতে শুরুতে নাস্তানাবুদ হয়েছে পাকিস্তান। বাজে সময় কাটিয়ে ধীরে ধীরে রানের দেখা পান সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। শেষদিকে অতিথিদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। যে কারণে বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে পারেনি দেশের ছেলেরা। প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিয়ে জয়বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপও করলেন মাহমুদউল্লাহ।
টাইগার টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন বলেন, ‘বোলাররা দারুণ করেছে। আমরা খুব কাছাকাছি গিয়েছি। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে (পাকিস্তানের) কৃতিত্ব দিতেই হয়। নেওয়াজ ও শাদাব সত্যি দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
লেগ স্পিনার হিসেবে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বল করার তেমন সুযোগই পাননি তিনি। একাদশেও থাকলেও বোলিং করেছেন ২ বল! কারণ ব্যাখ্যা করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বোলিং করানোর। কিন্তু যেহেতু দুটি বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ছিল। এজন্য আমাকে বল করতে হয়েছে।’
আট বলে মাত্র ১ রান করেছেন অভিষিক্ত সাইফ। পাকিস্তানি পেসারদের মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন। তার ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে সাইফের সমস্যা চোখে পড়ছে না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদর, ‘টেকনিকের বিষয় আমি খুব একটা বলতে পারব না। আমার কাছে মনে হয় ওর ভালো টেকনিক আছে। প্রথম ম্যাচ যে কারোরই খারাপ হতে পারে। ও ইনশাআল্লাহ্ কামব্যাক করতে পারবে।’