সেমি-ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি হাসান আলী। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের ফেলতে পারেননি বেকায়দায়। ৪ ওভার বল করে রান দেন ৪৪। থেকে যান উইকেটশূন্য।
বল হাতে নিজের ব্যর্থতার দিনটি আরও বিষাদময় করে তোলেন এক কাণ্ড ঘটিয়ে। শেষ দিকে হাসান ফেলে দেন বিধ্বংসী ব্যাটিং করা ম্যাথু ওয়েডের (১৭ বলে ৪১*) ক্যাচ। জীবন ফিরে পেয়েই পরের তিন বলে টানা তিন ছক্কা মেরে ছয় বল বাকি রেখেই অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ওয়েড।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাচ মিসের আক্ষেপ করলেন ক্যাপ্টেন বাবর আজম। তবে এজন্য হাসানকে দায়ী করেননি তিনি, ‘ক্যাচটি হয়ে গেলে, আমার মনে হয়, চিত্রটা ভিন্ন হত। তবে ক্যাচ মিস খেলার অংশ। আমরা ভুল থেকে যত শিখব, আমাদের জন্য তত ভালো হবে। দিন দিন শেখার এবং সেগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে আমাদের।’
হাসান আলী ক্যাচ মিস করায় পাকিস্তান বিদায় নিয়েছে। এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বাবর, ‘হাসানের জন্য পাকিস্তান এই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে? আমার তা মনে হচ্ছে না। সে আমাদের মূল বোলার। পাকিস্তানকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। একজন খেলোয়াড়ের হাত থেকে ক্যাচ ছুটতেই পারে। কিন্তু যেভাবে সে লড়াই করছে, আমি তার পাশে থাকবই। কারণ, সে আমাদের মূল বোলার এবং সব সময় ম্যাচ জিতিয়েছে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভালো পারফর্ম করতে পারেননি হাসান। ছয় ম্যাচ খেলে ২৩ ওভারে শিকার করেন ৫ উইকেট। গড়ে প্রতি ওভারে ৯ রান দিয়ে আসরে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার হয়ে আছেন তিনি। কিন্তু তারপরও হাসান আলীর ওপর আস্থা রাখছেন বাবর, ‘হাসান আলীকে আমরা সব সময় সমর্থন দিয়ে আসছি। টুর্নামেন্ট জুড়ে তার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ করেছি। একজন খেলোয়াড়ের জন্য আত্মবিশ্বাস খুব প্রয়োজন। পারফর্ম করতে পারা না পারা কারোর হাতে নেই। একজন খেলোয়াড় চেষ্টা করতে পারে, সেটা হাসান করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা সফল হয়নি। কোনো সমস্যা নেই। তার ওপর আমার পুরো বিশ্বাস আছে, সামনে সে ভালো করবে।’