লড়াইটা ফাইনালে উঠার। মহাগুরুত্বপূর্ণ এক মহারণ। এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিততে পারেনি এখনো পর্যন্ত বৈশ্বিক এ টি-টোয়েন্টি আসরে অজেয় থাকা পাকিস্তান। টস ভাগ্যটা সহায় হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তাই তো টস জিতেই ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ।
ম্যাচের আগে জ্বরে ভুগছিলেন শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। যে কারণে শেষ চারের লড়াইয়ে তাদের দুজনের মাঠে নামাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। পরে পিসিবি জানায়, মালিক ও রিজওয়ান ফিট। তারা দুজনেই খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সে মোতাবেক দুজনকে একাদশে রেখেই মাঠে নামছে পাকিস্তান।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র একবার ফাইনালে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙে অজিদের। এবার ফের ফাইনালে নাম লিখতে চায় ফিঞ্চ-স্মিথ-ওয়ার্নাররা। জিততে চায় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম শিরোপা।
পাকিস্তান ফাইনাল খেলেছে দুইবার। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসরে চিরশত্রু ভারতের কাছে হেরে গেলেও ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ধরাশায়ী করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে মাখে দক্ষিণ এশিয়ার এ ক্রিকেট পরাশক্তি।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, (অধিনায়ক) মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।