চলতি বিশ্বকাপ শেষে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন বিরাট কোহলি। দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন কোচ রবি শাস্ত্রীও। তার বদলে দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। নতুন ক্যাপ্টেন অবশ্য এখনো ঠিক হয়নি।
সে হিসেবে শাস্ত্রী-কোহলি যুগের শেষ ম্যাচটা জয়ে রাঙাল ভারত। নিয়মরক্ষার ম্যাচে রোহিত শর্মারা পেল ৯ উইকেটের সান্ত্বনার বড় জয়।
রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় ভারত। দুজনে মিলে উপহার দেন ৮৬ রানের পার্টনারশিপ।
শেষে রোহিত শর্মা ফিফটি করে ফিরলেও লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। ১৫.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য টপকে ১৩৬ রান তুলে ফেলে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির দল।
৩৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান রোহিত। লোকেশ রাহুল ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৪* রানের হার না মানা দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৫* রানে অপরাজিত থেকে যান সূর্যকুমার যাদব।
নামিবিয়ার হয়ে ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করে একটি উইকেট পান জান ফ্রাইলিঙ্ক।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হলেও তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি নামিবিয়া। কোনো ব্যাটসম্যানই খেলতে পারিনি বড় কোনো ইনিংস। তারপরও নিয়মরক্ষার ম্যাচে কোনোমতে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ১৩৩ রানের লক্ষ্য দেয় আফ্রিকান দলটি।
নামিবিয়ার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৬ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড উইয়েসে। তার সঙ্গে ওপেনার স্টেফান বার্ডের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
জান ফ্রাইলিঙ্ক ১৫*, মাইকেল ফন লিনজেন ১৪, রুবেল ট্রাম্পেলম্যান ১৩* ও ক্যাপ্টেন জারহার্ড এরাসমাস ১২ রান যোগ করেন দলীয় স্কোরে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া।
ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। দুটি উইকেট পান জাসপ্রিত বুমরাহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।