মাঠের লড়াই শুরুর আগে প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা লড়াই হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় এবারের বিশ্বকাপ হয়েছে উল্টোটা। নিজেরাই কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথার লড়াই তারই প্রমাণ।
আর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তো একটু রানের দেখা পেয়েই নিন্দুকদের খোঁচাই মেরে বসেন। পরে দেখা গেল যে লাউ সেই কদু। আগের সেই বাজে ফর্মে ফিরে গেছেন মুশফিক।
যার ফল মূল পর্বে পাঁচ ম্যাচের সবগুলো হার। আর শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে উড়ে যায় টাইগাররা। দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডে কথা বলার মত মানুষের অভাব নেই। কিন্তু কাজ করার মতো বা ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার মতো লোক ক্রিকেট বোর্ডে নেই। এই দুর্বলতাটা ধরিয়ে দিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের এ পেস কিংবদন্তি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খেলাটা পছন্দ করে, প্যাশন আছে। কিন্তু আমার মনে হয় সবাই ভাবে, এমনকি ক্রিকেট বোর্ডও, তারা ক্রিকেটের সেরা বিশ্লেষক। আমি তাদের বলতে চাই, আপনারা তা না। আপনারা ক্রিকেট চালাতে পারেন, কিন্তু এক্সপার্ট হতে পারেন না। এটার জন্য কাউকে নিতে হবে। শুধু কোচ নিয়ে সেরা জায়গায় যেতে পারবেন না।’
মিসবাহ উল হকও বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক কোচের মতে, অফ স্পিনারদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীতাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। লেগ স্পিনার তৈরি না হওয়ার পিছনের কারণ হিসেবে দেখেন তিনি অনুপযুক্ত পিচকে। গুগলি, লেগ স্পিন কেউ বোঝে না।আছে পেস আর বাউন্সের বিপক্ষে দেশের ক্রিকেটারদের দুর্বলতা।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, পেস আর বাউন্স হলেই তারা স্ট্রাগল করছে। একটু উঁচু বল আসলেই আর পারছে না। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশ অফ স্পিনারের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল। লেগ স্পিনার খেলায় না। গুগলি, লেগ স্পিন কেউই বোঝে না। এই কারণে জাম্পা পাঁচ উইকেট নিলো। আপনার লেগ স্পিনার নাই ওখানে, এটার ওপর কাজ করতে হবে। লেগ স্পিনার আসার জন্য ওরকম পিচ লাগবে।’