লক্ষ্যটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। তবুও শিমরন হেটমায়ার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখলেন না। অসাধারণ একটা ব্যাটিং পারফরম্যান্সও উপহার দিলেন। ফিফটি পেরিয়ে চলে গেলেন শতকের কাছাকাছি। তার ব্যাটিং ঝলকের পরও জিততে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্রীলঙ্কার কাছে ২০ রানে হার মানল ক্যারিবিয়ানরা। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে নিকোলাস পুরান কিছুটা সামাল দেন। ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস তিনি।
পরে ব্যাটিং লাইন-আপের হাল ধরেন শিমরন হেটমায়ার। ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে ৫৪ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৮১* রানের হার না মানা দাপুটে এক ইনিংস খেলেন হেটমায়ার।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে উইন্ডিজ। লঙ্কানদের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন চামিকা করুনারত্নে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙা ও বিনুরা ফার্নান্ডো। একটি করে উইকেট নেন দুষ্মন্ত চামিরা ও দাসুন শনাকা।
তার আগে পাথুম নিসানকা ও চারিথ আসালাঙ্কা ব্যাটিং ঝলক দেখান। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। সুবাদে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে নিসানকা-আসালাঙ্কা জোড়া অর্ধ-শতকে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে লঙ্কানরা।
ম্যাচসেরা আসালাঙ্কা ৪১ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৮ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলেন। আর নিসানকা ৫১ রানের ইনিংসটি সাজান ৪১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে।
কুশল পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। ২৫* রানে অপরাজিত থেকে যান ক্যাপ্টেন দাসুন শনাকা। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে দুটি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। বাকি উইকেটটি যায় ডোয়াইন ব্রাভোর পকেটে।