প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে রীতিমতো ৮ উইকেটে ধসে গেছে ভারতীয়রা। টানা দুই হারে লজ্জায় ডুবে আছে দ্য মেন ইন ব্লু শিবির। পড়েছে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়।
টানা দুই ম্যাচ হারলেও এখনো সেমি-ফাইনালের আশা টিকে রয়েছে ভারতের। শেষ চারের টিকিট পেতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচে তাদের যে করেই হোক জিততেই হবে। ভারতের বাকি তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ অবশ্য তুলনামূলকভাবে তাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে- আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড আর নামিবিয়া।
ভারতের শুধু বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও আফগানদের হার কামনা করতে হবে। প্রার্থনা করতে হবে অন্তত একটি ম্যাচে যেন পা হড়কায় নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু এখন যে দুর্বার ফর্মে রয়েছে তাতে করে কিউইদের হারের সুযোগ নাই বললেই চলে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে হতাশ হয়ে পড়েছিল ভারত। যেটা পরে কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিরাট কোহলিরা। যে কারণে নিউজিল্যান্ডের কাছেও শোচনীয় পরাজয়। অজানা এক ভয় নিয়েই মাঠে নেমেছিল তারা। সেই সাহসের অভাব আর মানসিক চাপই শেষ করেছে ভারতকে। কোহলি তো তেমনটাই বলছেন।
শরীরীভাষায় নিউজিল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ভারত। যার প্রমাণ মাঠের লড়াইয়ে। দলের ক্রিকেটারদের দিকে এমন অভিযোগের আঙুল তুললেন কোহলি, ‘অদ্ভুত লাগছে। ব্যাট-বলের কোনো বিভাগেই আমরা সাহসী ছিলাম না। মাঠে নেমেই সাহসের অভাবটা চোখে পড়ছিল। নিউজিল্যান্ড এদিক থেকে অনেক এগিয়ে ছিল আমাদের চেয়ে। আমরা শুরু থেকেই চাপে ছিলাম। ব্যাট করেছি এমনভাবে, যেন আমাদের ওপর অনন্ত চাপ!’
ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলির শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এটি। তার সঙ্গে বাড়তি প্রত্যাশার চাপেই কি হারল ভারত? কোহলি সেটা মানতে নারাজ।
ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলতে না পারায় স্নায়ুচাপ সামাল দিতে পারেনি ভারত। যে কারণে পা হড়কে গেছে দলের। কোহলির বলছেন তেমনটাই, ‘ভারতের হয়ে খেলতে নামলে প্রত্যাশা থাকবেই। সমর্থকদের থেকে নয়, বাকি খেলোয়াড়দের থেকেও প্রত্যাশা থাকে। তাই যে ম্যাচেই আমরা নামি না কেন, এই চাপটা সামলাতেই হবে। ভারতের হয়ে খেলতে গেলে এই চাপের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হলে এই চাপ কাটিয়ে ওঠা যায়, যেটা আমরা গত দু’ম্যাচে করতে পারিনি। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছো আর প্রত্যাশার চাপ থাকবে এটা ভেবে অন্য রকমভাবে খেলতে শুরু করলে চলবে না।’
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হারায় বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালের স্বপ্নই এখন হুমকির মুখে। তবে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন কোহলি। ভারতের জার্সি গায়ে বৈশ্বিক এ টি-টোয়েন্টি আসরের শেষ চারে খেলার বিনি সুতোয় স্বপ্নমালা এখনো বুঁনে চলেছেন তিনি, ‘মনে হয় এখনো সব ঠিকই আছে। এখনো অনেক ক্রিকেট খেলা বাকি রয়েছে আমাদের।’