চোট পেয়ে বসেছে সাকিব আল হাসানকে। ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে সাকিব অনিশ্চিত হয়েছিলেন আগেই। এবার তিনি ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকে। বাংলাদেশ দলের একটি সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে।
পরে আজ রোববার, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) খবরটি নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপে টাইগারদের বাকি দুই ম্যাচে মাঠে পাওয়া যাবে না সাকিবকে। বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাকিব বাঁ পায়ের নিচের দিকে আঘাত পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে এই চোট পেয়েছেন তিনি। গ্রেড ওয়ান এই ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচে খেলতে পারছেন না সাকিব।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন সাকিব। সেই ইনজুরি শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের জন্য।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচ খেলতে সাকিবকে ছাড়াই নামতে হবে টাইগারদে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সর্বশেষ হেরে যাওয়া ম্যাচ চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। পরে মাঠে ফিরে চার ওভার বলও করেন বাঁহাতি এ স্টার অলরাউন্ডার। চোটের ধকল এড়াতে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে।
এমনিতেই মাঠের লড়াইয়ে পারফরম্যান্সটা ভালো হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে হেরে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙেছে বাংলাদেশের। বাকি দুই ম্যাচে সান্ত্বনার জয় ছিনিয়ে নেয়াই এখন লক্ষ্য।
কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে জয় আসবে কিনা সেটা নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। কেননা ইনজুরির হানায় বাংলাদেশ দল যে এখন এলোমেলো। পিঠের চোট নিয়ে ইতিমধ্যে দেশে ফিরে গেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট নিয়ে এবার দর্শক হয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। শঙ্কা আছে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়েও।
চোট নিয়ে সাকিব শুরুতে ছিলেন ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে। পরে জানা যায় ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে এ ক্রিকেট মহাতারকাকে। ফলে সাকিবের বিশ্বকাপ মিশনই শেষ যায় আসরের মাঝ-পথে। সাকিব ফিট হতে হতে আর নতুন কেউ দলে যোগ দিয়ে কোয়ারেন্টিন শেষ করতে করতে বাংলাদেশের বাকি দুই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে।
করোনাকালে ক্রিকেটারদের থাকতে হচ্ছে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা থাকায় সাকিবের বদলি হিসেবে কাউকে দলে নিচ্ছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবুধাবিতে লড়বে বাংলাদেশ। ৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মূল পর্বে টাইগারদের শেষ ম্যাচ দুবাইয়ে। দুটি খেলাই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়।