বৃষ্টি আইনে টাইগারদের ইনিংসের পরিধি কমে এসেছে। সিরিজ বাঁচাতে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১৭১ রান। যদিও শুরুতে জানানো হয়েছিল, ১৬ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৪৮।
বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে গ্লেন ফিলিপসের দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩ রান। বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হলেও ব্যাট হাতে আর মাঠে নামেনি নিউজিল্যান্ড। তাদের ইনিংসটি থেমে যায় সেখানেই। জয়ের লক্ষ্য নিয়ে জবাবে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস ৫৮* রানের হার না মানা দুরন্ত এক ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে ড্যারিল মিচেল অপরাজিত থেকে যান ৩৪* রানে।
কিউইদের পঞ্চম উইকেটটি নিয়েছেন মেহেদী হাসান। তিনি ফেরান মার্ক চ্যাপম্যানকে। উইল ইয়ং’র (১৪) উইকেটও শিকার করেন তিনি।
দুরন্ত বোলিংয়ে শুরুতে অবশ্য স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। ১৯ রানের ব্যবধানে শিকার করে তিন উইকেট। যার দুই উইকেট আসে টানা দুই বলে। তাসকিন আহমেদের পর বল হাতে তোপ দাগিয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম বিদায় করেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল (২১) ও ওয়ানডাউনে নামা ডেভন কনওয়েকে (১৭)। কিন্তু ফিলিপস ও ড্যারিলের বাটিং দৃঢ়তায় বিপদ কাটিয়ে বড় পুঁজি গড়ে কিউইরা।
তার আগে তিন বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরেই উইকেটের দেখা পান তাসকিন আহমেদ। টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দেন তারকা এ পেসার। এবং সেটা নিজের প্রথম ওভারেই। পেয়ে যান ওপেনার ফিন অ্যালেনের উইকেট।
প্রথম ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ন্যাপিয়ারে আজ (৩০ মার্চ, মঙ্গলবার) জিতলে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে কিউইদের। সিরিজ বাঁচাতে হলে আজ জয়ের কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ১৭৩/৫, ১৭.৫ ওভার (ফিলিপস ৫৮*, ড্যারিল ৩৪*, গাপটিল ২১, ফিন ১৭, ডেভন ১৫, উইল ১৪; মেহেদী ২/৪৫)।