২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবসে একটা জয়ের অপেক্ষায় ছিল সবাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জয়ের রঙে রাঙিয়ে নিতে চেয়েছিল ক্রিকেটাররাও। কিন্তু এলোমেলো ব্যাটিংয়ে সেটা আর সম্ভব হয়নি। জেমস নিশাম ও ম্যাট হেনরির বোলিং তোপে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে অতিথিরা। আর তাতেই নিউজিল্যান্ডের কাছে টাইগাররা উড়ে গেল ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
দাপুটে এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল কিউইরা।
ব্যাটিং লাইন-আপের ধ্বংস স্তূপের মাঝে ধ্রুব তারা হয়ে জ্বললেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ৭৬* রানের হার না মানা দুর্বার এক ইনিংসে কোনোমতে দেড়শ রান ছাড়িয়ে যায় সফরকারীরা। তার আগে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনেই সংগ্রহ করেন ২১ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে যেন যোগ দেয় আসা-যাওয়ার মিছিলে। যে কারণে দুই অঙ্কও স্পর্শ করতে পারেনি তাদের কেউ।
তার আগে ডেভন কনওয়ে-ড্যারিল মিচেলের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সামনে ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। যারপরনাই বাজে ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যটা পাহাড়সম হয়ে যায় তামিমদের সামনে। নিশাম ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ায় হোয়াইটওয়াশ এড়ানো সম্ভব হলো না।
ডেভন ফেরেন ১২৬ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে। তার ১১০ বলের ইনিংসে ছিল ১৭টি চারের মার। শতক হাঁকিয়েছেন ড্যারিলও। তিনি খেলেন ১০০* রানের হার না মানা চমৎকার এক ইনিংস। তার ৯২ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার আর দুটি ছক্কার মার। দুজনেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন।
ওয়েলিংটনে টস জিতে ডেভন কনওয়ে-ড্যারিল মিচেলের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।
সংক্ষিপ্ত ইনিংস:
নিউজিল্যান্ড: ৩১৮/৬, ৫০ ওভার (ডেভন ১২৬, মিচেল ১০০*, গাপটিল ২৬, নিকোলস ১৮ ও লাথাম ১৮; রুবেল ৩/৭০)।
বাংলাদেশ: ১৫৪/১০, ৪২.৪ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৭৬*, লিটন ২১, মুশফিক ২১; নিশাম ৫/২৭, হেনরি ৪/২৭)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ১৬৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ সেরা: ডেভন কনওয়ে।
সিরিজ সেরা: ডেভন কনওয়ে।